সংক্ষিপ্ত

একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে সবুজ ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। আপনিও যদি গ্রীষ্মের মৌসুমে সুস্থ থাকতে চান, তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন এই ৫টি জিনিস খান।

সামনেই আসতে চলেছে তীব্র গরম। তার আভাস এখন থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছে। এই গরমে সুস্থ থাকতে শরীরকে দিতে হবে কিছু বিশেষ খাবার। যাতে চট করে গরম আমাদের সমস্যায় ফেলতে না পারে। তাই সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবসময় সবুজ শাকসবজি ও তাজা ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এসব ফল ও সবজিতে ক্লোরোফিল পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বলা হয়ে থাকে যে সবুজ ফল খেলে কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও, পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করে। একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে সবুজ ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। আপনিও যদি গ্রীষ্মের মৌসুমে সুস্থ থাকতে চান, তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন এই ৫টি জিনিস খান। চলুন জেনে নিই-

১. আঙ্গুর খান- আঙ্গুর স্বাস্থ্যের জন্য বর থেকে কম নয়। এটি ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি এবং সি সমৃদ্ধ। এই সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এর ব্যবহারে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও, আঙ্গুর খেলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তির প্রবাহ ঘটে। এটি গরমের ক্লান্তির সমস্যা দূর করে।

২. পেয়ারা খান- আপনি যদি মানসিক চাপে ভুগে থাকেন এবং তা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে পেয়ারা খান। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। এটি শুধুমাত্র মানসিক চাপ দূর করে না, পেশীকেও শক্তিশালী করে। সেই সঙ্গে ফাইবারের কারণে পরিপাকতন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করে। এতে ভিটামিন-এ, সি, ফোলেট, জিঙ্ক এবং কপারের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে।

৩. সবুজ আপেল খান- গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন অবশ্যই সবুজ আপেল খান। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এছাড়াও, সবুজ আপেলে প্রচুর পরিমাণে ‘কোয়ার্সেটিন’ পাওয়া যায়। এই রাসায়নিকের সাহায্যে আপনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারেন।

৪. তরমুজ খান- আপনি যদি গ্রীষ্মে ঠান্ডা অনুভব করতে চান, তাহলে অবশ্যই তরমুজ খান। তরমুজে এমন উপাদান রয়েছে যা পেট ঠান্ডা করে। এ কারণে গরমে শরীরে জলের অভাব হয় না। তরমুজ খেতেও খুব সুস্বাদু। আপনি চাইলে এর জুসও পান করতে পারেন।

৫. কিউই খান- এটি ভিটামিন-সি, ই, ফোলেট এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টিতে ভরপুর। এর পাশাপাশি পেয়ারায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ বৈশিষ্ট্য, যা প্লেটলেট বাড়াতে সাহায্য করে। কিওয়ের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীরাও কিউই খেতে পারেন।