Healthy Food: ডিম সেদ্ধ খান আর ওজন কমান, সঙ্গে জানুন সেদ্ধ ডিমের আরও উপকারিতা
- FB
- TW
- Linkdin
রোজ খান ডিম সেদ্ধ
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সর্বদাই চ্যালেঞ্জের। না খেয়ে ওজন কমানো কখনই ভাল নয়। এতে যে কোনও মানুষই দুর্বল হয়ে যায়। আবার বেশি পরিমাণে চিনি জাতীয় জিনিস খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। শুধু তাই নয়, খাবার যদি সঠিকভাবে না খাওয়া হয় তাহলে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন রয়েছে। যারমধ্যে সবথেকে জরুরি সুষম খাদ্য।
ডিম সেদ্ধ ওজন কমাতে জরুরি-
ডিম সেদ্ধ কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটে খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। সেই কারণে একবার একটি ডিম সেদ্ধ খেলে বারবার খাবার খেতে হয় না। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে ডিমের সঙ্গে অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবারগুলি নিয়মিত খেতে হবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
ডিম রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ডিম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ডিমে রয়েছে অ্যান্টহাইপারটেনসিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস শরীরে অনেক ধরণের রোগের কারণ হতে পারে। অতএব, খাদ্যে কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য। এ জন্য খাদ্যতালিকায় সেদ্ধ ডিম অন্তর্ভুক্ত করলে উপকার পাওয়া যায়। ডিমে ওভালবুমিন এবং ওভোট্রান্সফেরিনের মতো প্রোটিন থাকে, যা কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। এছাড়াও, ডিমে উপস্থিত অন্যান্য খনিজ যেমন ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই এবং সেলেনিয়ামও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
চুলের পুষ্টি
ডিম সেদ্ধ খেলে চুল সুন্দর হয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। যা চুলের ঘনত্ব রক্ষা করতে। ভিটামিন-ডি৩, ফোলেট, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন-বি৫) এবং সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ ডিমে পাওয়া যায়- যা চুলের জন্য উপকারী।
শরীরের ফোলাভাব কমায়
ডিম শরীরের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। ইনফেকশন টিস্যুতে এটি সাহায্য করে। হৃদরোগ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের কারণে শরীরে যে ফোলাভাব তৈরি হয় তা কমাতে পারে। এতে লুটেইন ও জেক্সানথিন কার্যকর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
হাড়ের জন্য উপকারী
ডিম সেদ্ধ কিন্তু হাড়ের জন্য উপকারী। ডিমে নানা ধরেনর খনিজ পদার্থ রয়েছে। যা হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। ন্যাশনাল সেন্টার অফ বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন জানিয়েছে ডিমে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং জিঙ্ক হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে। ডিম যদি সেদ্ধ করে খাওয়া হয় তাহলে প্রচুর পরিমাণে উপকার পাওয়া যায়।