সংক্ষিপ্ত
সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে মধু, লবঙ্গ ও এলাচ দিয়ে কাশির সিরাপ তৈরি করা যেতে পারে। এই রেসিপিটি খুবই উপকারী।
শীতের মৌসুমে সর্দি-কাশির মতো রোগ তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে। কাশির সমস্যা দূর করার জন্য অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হলেও আরাম পাওয়া কঠিন। ঘরে রাখা কিছু প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে কাশি থেকে মুক্তি পেতে। সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে এই ঘরোয়া উপায়গুলো খুবই কার্যকর। সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে মধু, লবঙ্গ ও এলাচ দিয়ে কাশির সিরাপ তৈরি করা যেতে পারে। এই রেসিপিটি খুবই উপকারী।
মধু এবং লবঙ্গ দিয়ে কাশির সিরাপ-
মধু, লবঙ্গ ও এলাচ কফ দূর করতে উপকারী। মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
কিভাবে তৈরী করবেন-
কাশির সিরাপ তৈরি করতে প্রথমে এলাচ ও লবঙ্গ অল্প আঁচে শুকনো খোলায় ভেজে নিন এবং গরম করুন। এলাচ ও লবঙ্গ পুড়ে যাওয়ার আগে নামিয়ে নিন। এবার শিল-নোড়ায় বা কোনও কিছুর সাহায্যে গুঁড়ো করে নিন। এই গুড়ো খাঁটি মধুতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। কাশির সিরাপ প্রস্তুত। একটি ছোট বাক্সে ভরে রাখতে পারেন।
মধু হালকা গরম করে খেলে কাশিতে সঙ্গে সঙ্গে আরাম পেতে শুরু করবে। ঠান্ডা মধু খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে, তাই খাওয়ার আগে কাশির সিরাপ সামান্য গরম করে নিন। এই কাশির সিরাপ দিনে ৩ বার খেতে হবে।
এই টিপসগুলিও উপকারী
ঠান্ডা ও ফ্লু থেকে মুক্তি পেতে গরম জল পান করা উপকারী। গরম জলতে হলুদ মিশিয়েও গার্গল করা যায়। এতে কফ দূর হবে।
- ঘি-সহ গোল মরিচ খেলেও কাশিতে আরাম পাওয়া যায়। গোল মরিচে উপস্থিত বৈশিষ্ট্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি বাড়ায়।
আদা চা পান করলে গলা জ্বালা ও ঠান্ডায় আরাম পাওয়া যায়।
ভাজা রসুন খাওয়াও উপকারী। ঘিতে ভাজা রসুন খেলে কাশির সমস্যা দূর হয়।