গরমকালে অত্যাধিক ঘাম হচ্ছে? দুশ্চিন্তা না করে জেনে নিন এমনটা কেন হয়
আপনার যদি বেশি ঘাম হয়, তাহলে এর কারণ এবং এর থেকে কিছু উপকারিতা এই নিবন্ধে জানতে পারবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
)
বৈজ্ঞানিক কারণে ঘাম আপনার জন্য ভালো:
ঘাম আমাদের শরীরের একটি খুব সাধারণ বিষয়, তবে আমরা সকলেই এটিকে অপছন্দ করি। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে বেশি ঘাম হয়। এর কারণে শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। এছাড়াও, ঘামের কারণে শরীরে দুর্গন্ধও হয়।
ঘাম কেন হয়?
শারীরিক কার্যকলাপ, জ্বর, তামাক, উদ্বেগ, গরম ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ঘাম হতে পারে। ঘাম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা উদ্বিগ্ন, পানিশূন্যতায় ভুগছি বা আমাদের শরীর কোনো রোগের সঙ্গে লড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেরই অতিরিক্ত ঘাম হয়। সত্যি বলতে, অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরের কিছু উপকারও হয়। সেগুলো কী কী, তা এই নিবন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে:
ঘামের প্রথম কাজ হল শরীরকে ঠান্ডা রাখা। ঘাম গ্রন্থি থেকে ত্বকের মাধ্যমে ঘাম নির্গত হয়। তারপর তা বাষ্পীভূত হয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমায়। যদি আপনি গরম পরিবেশে থাকেন, তাহলে শরীর থেকে নির্গত ঘামের অভাব পূরণ করতে প্রচুর জল পান করতে ভুলবেন না।
ত্বককে উজ্জ্বল করে:
শারীরিক কার্যকলাপ আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে ত্বক উজ্জ্বল হয়। অর্থাৎ, এটি আপনার ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা দেয়। অতিরিক্ত ঘাম আপনার ত্বককে চকচকে করে তোলে। এছাড়াও, স্বাস্থ্যকর রক্ত সঞ্চালন ত্বকের কোষকে পুষ্টি জোগায়। এছাড়াও, এটি ত্বকের কোষকে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে, যার ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
হৃদয়ের জন্য ভালো:
কাজ করার সময় যদি আপনার বেশি ঘাম হয়, তাহলে চিন্তা করবেন না। এটি হৃদয়ের জন্য ভালো। কারণ, তথ্য অনুযায়ী, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক ব্যায়াম করলে তবেই অতিরিক্ত ঘাম নির্গত হয়। তবে কখন, কতটা ঘাম হচ্ছে, তার ওপর খেয়াল রাখা উচিত।
শরীরকে পরিষ্কার রাখে:
শরীরকে পরিষ্কার রাখতে ঘাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘাম আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল, অ্যালকোহল, লবণ ইত্যাদি অপসারণ করতে সাহায্য করে। এমনকি, ঘাম শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করার একটি পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও, ঘাম ব্রণ, লোমকূপ এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমায়:
বেশি ঘাম হলে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এটি হাড়ের ক্যালসিয়ামের মাত্রাকে সঠিক রাখতে সাহায্য করে। মূলত, ঘাম কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ লবণ এবং ক্যালসিয়ামের বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করে।