- Home
- Lifestyle
- Health
- তাপমাত্রার পারদ চড়ছে হুহু করে, জানুন এই গরমে আপনার শরীর ঠিক কতটা তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে
তাপমাত্রার পারদ চড়ছে হুহু করে, জানুন এই গরমে আপনার শরীর ঠিক কতটা তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে
- FB
- TW
- Linkdin
দেহের তাপমাত্র
মানুষের শরীরের সাধারণ তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনাইট। অর্থাৎ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এর থেকে বেশি তাপমাত্রা মানেই অসুস্থতা।
জ্বর হলে তাপমাত্রা
৯৮ ডিগ্রির মার্ক ছাড়ালেই জ্বর হয়। চিকিৎসকদের কথায় সাধারণত মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত সহ্য করতে পারে।
প্রোটিন নষ্ট
চিকিৎসকদের কথায় ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেশি হলে শরীরের প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।
বাংলার উর্ধ্বগামী তাপমাত্রা
পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই তাপমাত্রার পারদ উর্ধ্বগামী। কলকাতার তাপমাত্রাই ৪১-৪২ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করে। আগামী দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস।
তাপমাত্রাই অসুস্থতার কারণ
তাপমাত্রার পারদ চড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থতার বাড়তে থাকে। হিটস্ট্রোক ও হার্টঅ্যাটাকের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি ডিহাইড্রেশন, ডায়েরিয়া, মাইগ্রেনের মত সমস্যাও বাড়ছে।
রোদের কারণে ক্ষতি
প্রখর রোদ। তার কারণেই ক্ষতি হচ্ছে চোখের। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি রেটিনা নষ্ট করছে। ক্ষতি হচ্ছে ত্বকের। ব়্যাশ, ঘামাচির মত সমস্যাও হচ্ছে।
তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রার নামবে না। উল্টে তাপমাত্রার পারদ চড়বে। রাজ্যের কোনও কোনও এলাকার তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে।
শরীরের সহ্য শক্তি
চিকিৎসকদের কথায় মানব শরীর ৪০-৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। অর্থাৎ ১০৪-১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট হতে পারে। তবে সেটাও নির্ভর করে শরীরের মেটাবলিক রেট, হার্টরেট ও ইমিউনিটির ওপর।
সহ্য শক্তি নেই
শিশু ও বয়স্কদের পক্ষে বা কোনও অসুস্থ মানুষের পক্ষে এই প্রখর তাপমাত্রা সহ্য করা সম্ভব নয়। প্রবল এই তাপমাত্রার কারণে তাদের নানাবিধ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
তাপমাত্রা সহ্য করার শর্ত
১৯৮৫ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মানুষের শরীর ৪০-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। কিন্তু আর্দ্রতা । ৫০ শতাংশের নিচে থাকে তাহলে বেশি তাপমাত্রা সহ্য করা যায়। বেশি তাপমাত্রায় ঘাম হয় তার মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে আর্দ্রতা যদি বেশি হয় তাহলে যেকোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। মানুষ দুর্বল হয়, বমি বমি ভাব দেখা যায়। ডিহাইড্রেশন হয়। সোডিয়াম পটাসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।