হার্ট থাকবে সুস্থ, সতেজ.. হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই কয়েকটা খাবার
নাগরিক জীবনযাত্রা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব।
নগর জীবনযাত্রা, চাপপূর্ণ কাজ এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আমাদের শরীরের জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। সাম্প্রতিক সময়ে, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়েছে। বিশেষ করে, বয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রকোপ বেড়েছে, এখন তরুণদেরও এটি প্রভাবিত করছে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্যকারী খাবার সম্পর্কে এই পোস্টে আলোচনা করা হল।
বিটরুট নাইট্রেট সমৃদ্ধ, যা রক্তনালী প্রসারিত করতে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
দারচিনিতে প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধর্ম রয়েছে, যা রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি ধমনীতে প্রদাহ কমাতে এবং উন্নত হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যে অবদান রাখতে সাহায্য করে।
ডালিম পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা প্রদাহ কমাতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি ধমনীতে প্লাক গঠন রোধ করতে সাহায্য করে। পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এগুলি রক্তচাপ কমাতে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং সামগ্রিক হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
আমলকী ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ধমনীতে প্লাক গঠনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি সামগ্রিক হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে।
হলুদে কারকিউমিন রয়েছে, যার শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের প্রধান কারণ।
তিসির বীজ আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিডের (ALA) একটি उत्कृष्ट উৎস, যা এক ধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলি রক্তচাপ কমাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ধমনীর স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। আখরোট ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এগুলি প্রদাহ কমাতে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, সামগ্রিক হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
রসুন রক্তচাপ কমানোর এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ক্ষমতার জন্য পরিচিত। এর সক্রিয় উপাদান, অ্যালিসিন, ধমনীতে প্লাক গঠন রোধ করে, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।