সংক্ষিপ্ত

আগেকার দিনে পরিবারের দিদা- ঠাকুমারা চোখে দেখেই অনুমান করতে পারেন ছেলে হবে না মেয়ে! কথিত আছে যে গর্ভে মেয়ে বা ছেলে সন্তান থাকলে কিছু বিশেষ লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা যায়।

 

ডেলিভারি না হওয়া পর্যন্ত মনের মধ্যে প্রশ্ন থাকে ছেলে হবে নাকি মেয়ে। আগেকার দিনে পরিবারের দিদা- ঠাকুমারা চোখে দেখেই অনুমান করতে পারেন ছেলে হবে না মেয়ে! কথিত আছে যে গর্ভে মেয়ে বা ছেলে সন্তান থাকলে কিছু বিশেষ লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা যায়।

আপনার সন্তানের লিঙ্গ জানা একদম উচিত কাজ নয়। লিঙ্গের মধ্যে পার্থক্য করা ভুল। আপনার একটি ছেলে বা মেয়ে হোক না কেন, সে আপনারই একটি অংশ এবং আপনার তা স্বাচ্ছন্দে গ্রহণ করা উচিত। তাই আপনার গর্ভে পুত্র না কন্যা আছে তা গর্ভাবস্থার কিছু লক্ষণ দিয়ে অনুমান করতে পারেন মাত্র।

১) মর্নিং সিকনেশ-

কিছু লোক বিশ্বাস করে যে গর্ভাবস্থায় অত্যধিক মর্নিং সিকনেশ কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ। পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ খুব কম থাকে। এমনকী গবেষণা বলছে যে গর্ভাবস্থায় অসুস্থ বোধ করা শিশুর লিঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।

২০১৭ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে মহিলারা যখন গর্ভে একটি পুত্র সন্তান থাকে তার তুলনায় যখন মেয়ে থাকে গর্ভবতী মায়ের তখন ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসে ইমিউন সিস্টেম বেশি ফুলে যায়। তবে মর্নিং সিকনেস এবং শিশুর লিঙ্গের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে এখনও আরও গবেষণা প্রয়োজন।

২) মুড স্যুইং-

গর্ভাবস্থায় পেটের চারপাশে অতিরিক্ত মেদ বেড়ে যাওয়া মানে গর্ভে কন্যা সন্তানের লক্ষণ। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে পেটের সামনের অংশে ওজন বেড়ে যাওয়া ছেলে হওয়ার লক্ষণ। তবে, এটি নিশ্চিত করার জন্য কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি প্রতিটি মহিলার শরীরের ধরণের উপর নির্ভর করে।

৩) মিষ্টি খেতে ভালো লাগছে

গর্ভাবস্থায়, সব সময় নতুন বা অদ্ভুত জিনিসের জন্য একটি লালসা থাকে। তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে মিষ্টি খাবারের আকাঙ্ক্ষা একটি মেয়ে হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে নোনতা খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষার অর্থ হল সন্তানটি ছেলে হবে।

গর্ভাবস্থায় খাবারের আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তানের লিঙ্গের মধ্যে সম্পর্ক সম্পর্কিত কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

৪) প্রাণহীন ও তৈলাক্ত চুল

এটা বিশ্বাস করা হয় যে তৈলাক্ত এবং প্রাণহীন চুল থাকা মেয়ে হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই বিশ্বাসের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। অন্যদিকে, তেল উৎপাদন এবং চুলের বৃদ্ধিতে পরিবর্তন হরমোন বা খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।

এছাড়াও পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে মায়ের স্তনবৃন্ত কালো হয়ে যাওয়া, পেটের উপরের অংশ বৃদ্ধি পাওয়া, মাথার চুল বেড়ে যাওয়া ও নতুন চুল গজানো, নাভী থেকে যে দাগ নীচের দিকে নেমে যায় তার রঙ বেশি গাড় থাকা পুত্র সন্তান বলে অনুমান করেন পরিবারের প্রবীণ মহিলারা। তবে এই বিষয়গুলোর কোনওটারই বৈজ্ঞানিক কোনও প্রমাণ নেই এগুলি কেবল অনুমান মাত্র। গর্ভস্থ ভ্রুণের লিঙ্গের যাচাই করা আইনত দন্ডনীয় কাজ। এশিয়ানেটনিউজ বাংলা কখনোই এই কাজগুলিকে সমর্থণ করে না।

আরও খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের চ্যানেলের লিঙ্কে-