প্রতিদিন ১টি পেয়ারা অবশ্যই খান, মিলবে ১৯টি মারণ রোগের হাত থেকে মুক্তি
- FB
- TW
- Linkdin
গর্ভাবস্থায় মা এবং শিশুকে সুস্থ রাখতে, মায়ের শরীরে যাতে ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি না হয় তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। আর এই কাজে পেয়ারার কোনো বিকল্প নেই! কারণ এই ফলটিতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফলিক অ্যাসিড। তাই নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে গর্ভবতী মায়ের শরীরে এই বিশেষ উপাদানটির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
পরিমাণ মতো পেয়ারা পাতা নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। তারপর জলে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন, দেখবেন ব্ল্যাকহেডস ধীরে ধীরে কমে এসেছে। সেই সঙ্গে ত্বকের ওপর জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরে যাওয়ায় ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন B3 এবং B6 মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়ায়। ফলস্বরূপ, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধিমত্তা এবং মনোযোগ স্বাভাবিকভাবেই উন্নত হয়।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে পেয়ারার পাতায় উচ্চ মাত্রায় প্রদাহরোধী উপাদান রয়েছে, যা কেবল তাত্ক্ষণিকভাবে দাঁতের ব্যথা উপশম করে না, মুখের গহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে। ফলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগে না।
এই ফলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ক্ষতিকারক জীবাণু শরীরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলতে শুরু করে। ফলে যেকোনো ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত সব ধরনের বিষাক্ত পদার্থও বেরিয়ে আসে। ফলে শরীর তাৎক্ষণিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
পেয়ারা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটাই শক্তিশালী করে যে ছোট-বড় কোনো রোগই কাছে আসতে পারে না। শুধু তাই নয়, ভিটামিন সি বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা ছোট থেকেই শিশুদের পেয়ারা খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।
শুধু পেয়ারা নয়, পেয়ারা পাতা স্কিন টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য উপকারী উপাদান রয়েছে। এক্ষেত্রে পেয়ারা বা পেয়ারা পাতা একটি পাত্রে জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে করে ত্বকের অন্দরে থাকা পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়।
অল্প পরিমাণ পেয়ারার খোসা নিন এবং ডিমের কুসুমের সাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর মুখে ভালো করে লাগিয়ে অন্তত ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই কাজটি করলে অল্প সময়ের মধ্যেই ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
নিয়মিত পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ। এর সাথে ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং গ্লুকোমার মতো রোগও দূরে থাকে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়।