সংক্ষিপ্ত

শ্লেষ্মার কারণে ফুসফুস বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি হয়। ধুলোবালি , দূষণ বা ঠান্ডা লাগা থেকেই শ্লেষ্মার সমস্যা তৈরি হয়। তা থেকেই সর্দিকাশির মত রোগ শুরু।

 

এই সময়টা অনেকেরই সর্দিকাশির সমস্যা হয়ে থাকে। কাশি হলে তা আবার সহজে সারছে না। শ্লেষ্মা হল একটি বিরক্তিকর পদার্থ- যা আমাদের গলা আ শ্বাসনালীতে সমস্যা তৈরি করে। এটি থেকেই শ্বাসযন্ত্রের নানান রোগের সূত্রপাত। গলা জ্বালা বা ব্যাথা থেকেই এই সমস্যা তৈরি হয়। কিছু দিনের মধ্যেই শ্লেষ্মার কারণে ফুসফুস বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি হয়। ধুলোবালি , দূষণ বা ঠান্ডা লাগা থেকেই শ্লেষ্মার সমস্যা তৈরি হয়। তা থেকেই সর্দিকাশির মত রোগ শুরু। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কতগুলি সহজ উপায় রয়েছে।

আসুন জেনেনি কী ভাবে সহজে ঘোরায়া পদ্ধতিতে শ্লেষ্মার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়ঃ

মধু

এটি গলা ব্যাথা বা সর্দিকাশীর একটি সহজ ঘরোয়া প্রতিকার। নিয়মিত মধু খেলে এজাতীয় সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। ভেষজ চা বা উষ্ণ গরম জলের সঙ্গে দুই চামচ পর্যন্ত মধু খেতে পারেন। চাইলে ঘুম থেকে উঠে সকালে বাসি মুখেই দুই চামচ মধু খাওয়া যেতে পারে। তবে এক বছরের নিচের শিশুদের মধু দেবেন না।

প্রোবায়োটিকস

এটি হল একটি ক্ষুদ্র জীব, যা অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রোবায়োটিকস গ্রহণ করলে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা যেতে পারে। প্রোবায়োটিকগুলি সম্পূরক, দুই, মিসো স্যুপে পাওয়া যায়। নির্মাতারা বিভিন্ন ডোস সুপারিশ করতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে এটি গ্রহণ করা ভাল।

ব্রোমেলাইন

ব্রোমেলাইন আনারসে পাওয়া যায়। এটি একটি এনজাইম যা কাশি সারাতে পারে। সাইনোসাইটিস ও অ্যালার্জি সাইনাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। দিনে এক টুকরো আনারস উপকার দেয়। তিন বার ৩.৫ আউন্স আনারসের রস পান করতে অনেক সমস্যা কমে যায়। তবে যাদের রক্ত পাতলা তারা ভুলেও এটি খাবেন না।

মার্শম্যালো

মার্শম্যালো একটি মূল যা দীর্ঘ দিন ধরেই গলা ব্যাথা উপসমের কাজে ব্যবহার করা হয়। কাশির চিকিৎসার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এটিতে মিউকিলেজ রয়েছে। যা গলাকে ঘুরে থাকে ও স্বস্তি দেয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে উদ্ভিদটি প্রদাহ বিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কাশি কমাতে ম্যার্শম্যালোর মূল ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়। এটিও চিকিৎসকদের পরামর্শে গ্রহণ করতে পারেন। তবে শিশুদের এটি কখনই একদম দেবেন না।