সংক্ষিপ্ত
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় সংবেদনশীল হয়ে যায়। হাড়ের দুর্বলতা, বা অস্টিওপোরোসিস, হাড়ের ভর হ্রাস এবং কাঠামোগত অখণ্ডতার সাথে আপস করা একটি সাধারণ অবস্থা।
শক্তিশালী হাড় সুস্থ ও সক্রিয় স্বাস্থ্যের অধিকারীর একটি লক্ষণ। শক্তিশালী শরীরেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল হাড় শক্ত হওয়া। বয়স বাড়়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় শক্তি হারিয়ে ভঙ্গুর হয়ে যায়। সেই সময় হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় সংবেদনশীল হয়ে যায়। হাড়ের দুর্বলতা, বা অস্টিওপোরোসিস, হাড়ের ভর হ্রাস এবং কাঠামোগত অখণ্ডতার সাথে আপস করা একটি সাধারণ অবস্থা। আসুন দেখেনি কী করে আপনি বুঝবেন আপনার হাড় দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
ভেঙে যাওয়া- হাড়ের দুর্বলতার সবথেকে বড় লক্ষণ হল ঘন ঘন ভেঙে যাওয়া। ছোটখাট আঘাত বা পড়ে গেলেও হাড় ভেঙে যায়। তা থেকে বোঝা যায় হাড় দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা যদি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
উচ্চতা হ্রাস- বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চতা হ্রাস পাতে শুরু করে। এই বার্ধক্যের সময় থেকেই হাড় দুর্বল হয়ে যায়। এই সময় মেরুদণ্ড সঙ্কুচিত হয়। সেই কারণে উচ্চতা কমে যায়। এজাতীয় সমস্যা থাকলে স্বাস্থ্যের মূল্যায়ণ জরুরি।
পিঠে ব্যাথা- অবিরাম পিঠে ব্যাথা বা বিশেষ করে পিঠের মাঝখানে ব্যাথা বা নিচের দিকে ব্যাথা হলে সচেতন হয়ে যায়। এটি মেরুদণ্ডে ফাটল থেকে হতে পারে। এই ব্যাথা দীর্ঘস্থায়ী। কিন্তু কী কারণে ব্যাথা হয় তা বোঝার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। তিনি আপনাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ আর পথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন।
ভঙ্গুর নথ- দুর্বল হাড়ের বড় লক্ষণ হল ভঙ্গুর নখ। দ্রুত নখ যদি ভেঙে যায় তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে শরীরে ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে। পুষ্টির ঘাটতি মেটানোর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করুন।
মাড়ির ক্ষয়
হাড় যেমন দুর্বল গতে পারে তেমনই চোয়ালের হাড়ও দুর্বল হতে পারে। মাড়ির দাঁত পড়ে যাওয়া বা আলগা হয়ে যওয়ার হাড় দুর্বলের লক্ষণ। শক্ত চোয়াল যেমন শক্ত হাড়ের লক্ষণ তেমনই দুর্বল চোয়ালও দুর্বল হাড়ের কথা বলে।
ক্লান্তি - আপনি যদি ঝিমিয়ে পড়েন। বা ক্লান্ত বোধ করেন মাঝে মাঝে সেটাও কিন্তু সুস্থ স্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। কারণ দুর্বল হাড় সর্বদা মেরুদণ্ডকে প্রভাবিত করে। ব্যায়াম করলে হাড়ের ওপর চাপ কমতে পারে।
হাতের জোর কমে যাওয়া - হাতের জোর কমে গেলে বুঝতে হবে আপনার হাত আর কবজির হাড় ভঙ্গর হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ শক্তি হারাচ্ছে। বর্ধক্যে দুর্বল পেশী দুর্বল হাড়ের সঙ্গে লড়াই করতে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। হাড়ের ঘনত্ব বজায় থাকলে এই সমস্যাগুলি হয় না। কিন্তু বার্ধক্যে হাড় ক্ষয়ে যাবেই। তাই এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়।
হাড়ের সমস্যা সাধারণত বার্ধক্যেই দেখা যায়। তাই এটি ফেলে রেখা খুব ভুল। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা আর চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলাই শ্রেয়। অনেক সময় ওজন বেশি হওয়ার জন্য হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও জরুরি।