সংক্ষিপ্ত
একটা সময় আমেরিকায় ফ্রোজেন ফুড খুবই জনপ্রিয় ছিল। বর্তমানে এটি ভারত সহ একাধিক দেশেই জনপ্রিয়। এই খাবার স্থূলতা, লিভার, কিডনি, হার্টসহ শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করে।
বর্তমানে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ফ্রোজেন ফুড বা প্যাকেটজাত খাবার। এগুলি প্রায়ই রেডি-টু-ইট। অর্ধেকটা তৈরি করাই থাকে। খুব চোখের নিমেশেই পাতে তুলে নেওয়া যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথায় ফ্রোজেন ফুডের থেকে বাড়ির তৈরি তাজা খাবার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। ফ্রোজেন ফুড স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ফ্রোজেন ফুডে প্রচুর পরিমাণে হিমায়িত সংরক্ষণ করে রাখার জন্য এই খাবারে স্টার্চ ও গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
একটা সময় আমেরিকায় ফ্রোজেন ফুড খুবই জনপ্রিয় ছিল। বর্তমানে এটি ভারত সহ একাধিক দেশেই জনপ্রিয়। এই খাবার স্থূলতা, লিভার, কিডনি, হার্টসহ শরীরের প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করে। হিমায়িত খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এই খাবার শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
ফ্রোজেন ফুডের ক্ষতিগুলি হলঃ
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি- এই ধরনের হিমায়িত খাবারকে তাজা রাখতে স্টার্চ ব্যবহার করা হয়। এই স্টার্চ খাবারের স্বাদ বাড়ালেও তা হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ধরনের খাবার খেলে শরীর গ্লুকোজকে চিনিতে রূপান্তরিত করে। অতিরিক্ত চিনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি শরীরের টিস্যুগুলিরও ক্ষতি করে।
হার্টের জন্য বিপজ্জনক- হিমায়িত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। হিমায়িত খাবারে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট থাকে যা ধমনীতে জমাট বাঁধার সমস্যা বাড়ায়। ট্রান্স ফ্যাট শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ভালো কোলেস্টেরল কমায়। এটি উল্লেখযোগ্যভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও, এই জাতীয় খাবারে উচ্চ পরিমাণে সোডিয়াম থাকে যা রক্তচাপ বাড়ায়।
স্থূলতা বাড়ে- হিমায়িত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে, যা শরীরে স্থূলতা বাড়ে। এ ধরনের খাবারকে পুষ্টিগুণে ভরপুর বলা হলেও চিকিৎসকরা একে স্বাস্থ্যের জন্য ধীর বিষ বলে মনে করেন। এই খাবারের চর্বি কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিনের তুলনায় দ্বিগুণ ক্যালরি ধারণ করে। আপনি যদি ১ কাপ হিমায়িত মুরগি খান, তাহলে এটি প্রায় ৬০০ ক্যালোরি দেয়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি- যারা বেশি হিমায়িত খাবার খান তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে হিমায়িত খাবার, বিশেষ করে হিমায়িত মাংস খেলে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একটি সমীক্ষা অনুসারে, হিমায়িত মশলাদার নন-ভেজ, হট ডগ এবং সস খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।