সংক্ষিপ্ত
বর্ষা এলেই ঠান্ডা লাগে? কয়েকটা আয়ুর্বেদিক ওষুধ দূরে রাখবে সিজনাল ফ্লু
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। ভারী বর্ষণে আবহাওয়া মনোরম হয়ে উঠেছে। তবে এতে মরশুমি রোগের ঝুঁকিও (সিজনাল ফ্লু) বেড়েছে। বৃষ্টিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে সংক্রমণ ও রোগ বাড়ে।
যার কারণে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল ইনফেকশন, ফুড পয়জিনিং, ডায়রিয়া, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, ত্বকের ইনফেকশন ও অ্যালার্জির আশঙ্কা থাকে। এই ক্ষেত্রে এই সব রোগ থেকে দূরে থাকতে চাইলে ৫টি আয়ুর্বেদিক ভেষজকে ডায়েটে যোগ করতে হবে। এর ফলে বর্ষায় কোনও রোগ ধারে কাছে ঘেঁষবে না।
আদা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি ভেষজ। আদা বিভিন্ন ধরনের রোগ ও সংক্রমণের থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। গলা ব্যথা থেকে শুরু করে হজমের সমস্যাতে আদা অত্যন্ত উপকারী। বৃষ্টির দিনে প্রতিদিন আদা চা পান করলে রোগ-অসুখ দূরে থাকে।
ঔষধি গুণযুক্ত হলুদে ইতিমধ্যেই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা বা শরীর ফুলে গেলে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে পান করলে আরাম পাওয়া যায়।
বৃষ্টির দিনে সর্দি, গলা ব্যথা দেখা দেয়। এর জন্য, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত যষ্ঠিমধু দরকারী হতে পারে। এটি চা বা ক্বাথ ব্যবহার করা যেতে পারে।
আয়ুর্বেদে তুলসী একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ঔষধি। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা বর্ষাকালে সংক্রমণকে দূরে রাখতে সহায়তা করতে পারে। এতে অনেক রোগ এড়ানো যায়। তুলসী পাতার চা বা ঘন পান করা অত্যন্ত উপকারী।