ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই কমানো যায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, রইল কিছু টিপস
শুধু বয়স্ক মানুষই নয়, এখন তরুণরাও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং খারাপ জীবনযাপন। আসুন জেনে নেই ৫টি সহজ ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে, যেগুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
| Published : Nov 08 2023, 11:16 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
উচ্চ রক্তচাপ এমন একটি গুরুতর সমস্যা, যার কারণে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে আপনার জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার একমাত্র বিকল্প। জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত পরিমাণে সোডিয়াম অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে আপনার স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
DASS ডায়েট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর। এই ধরনের খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, চর্বিহীন মাংস, মাছ এবং বাদাম ইত্যাদি। এই ডায়েট মেনে চললে আরও অনেক রোগ দূরে থাকবে।
সেলারি বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এর ব্যবহার ভালো বলে মনে করা হয়। সেলারিতে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে এবং এটি পটাসিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন কে, ফোলেট এবং ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে সকালে খালি পেটে সেলারি জল পান করতে পারেন। ওজন কমাতেও এটি খুবই সহায়ক।
এছাড়া উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসায়ও তুলসী পাতা খাওয়া খুবই ভালো বলে মনে করা হয়। এতে প্রচুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এটি খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হয় না এবং আরও অনেক মারাত্মক রোগ দূরে থাকে।
শরীরের ওজন বৃদ্ধি অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে, যার মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো রোগগুলি সাধারণ। এমন পরিস্থিতিতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। এ জন্য ব্যায়াম ও ডায়েটের পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে জিরা জল পান করুন। এটি ওজন কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকিও কমায়।
ব্যায়াম হল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সেরা ঘরোয়া প্রতিকার। এজন্য প্রতিদিন আধা থেকে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। আপনি হাঁটা বা সাঁতারের মত অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপও করতে পারেন। শুধু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নয়, ফিট থাকার জন্যও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।