রাতে খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়েন? শরীরের কী মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে জানেন?
- FB
- TW
- Linkdin
রাতে খাওয়ার পরেই কি ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস আছে? তাহলে এই অভ্যাস বদল করুন
বর্তমানে প্রায় সবারই ব্যস্ত জীবন। কোনও কিছুর জন্যই সময় নেই। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে অফিসের কাজ, বাড়ির কাজ ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। অনেকেই বলেন যে রাতে ঘুমানোর আগেই একটু বিশ্রাম পাওয়া যায়। সময়ের অভাবে অনেকে রাতের খাবার খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় চলে যান। কিন্তু খাওয়ার পর পরই কি ঘুমানো যায়? এটি করার ফলে কী কী সমস্যা হতে পারে জেনে নেওয়া যাক…
রাতে খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়লে শরীরে কী ধরনের মারাত্মক ক্ষতি হয় জেনে নিন
রাতে খাওয়ার পর পরই ঘুমোলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এর ফলে গ্যাস, বদহজম, বুক জ্বালা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, খাওয়ার পর পরই শুয়ে পড়লে বুকে ভার লাগতে পারে। তাই যতটা সম্ভব খাওয়ার পর পরই শোয়া উচিত নয়। এছাড়াও, খাওয়ার পর পরই শুয়ে পড়লে পেটে অ্যাসিড তৈরি হয় এবং তা গলায়ও উঠে আসতে পারে। অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেক বেড়ে যায়।
রাতে খাবার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপরেই শোয়া উচিত, না হলে সমস্যা হয়
খাওয়ার পর পরই ঘুমোলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। এর ফলে শরীরে টক্সিন জমা হতে শুরু করে। এটি বিপাককেও প্রভাবিত করে। বদহজম শরীরের শক্তির মাত্রাকে প্রভাবিত করে, যার ফলে ভালো ঘুম আসে না। এটি শরীরে ক্লান্তি এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করে। রাতের খাবার এবং ঘুমের মধ্যে যদি পর্যাপ্ত বিরতি না থাকে তবে তা রক্তে শর্করার মাত্রাকে অসম করে তোলে। দীর্ঘমেয়াদে এই অবস্থা ইনসুলিন প্রতিরোধের সৃষ্টি করে, যা ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে পরিচালিত করে।
রাতের খাবার এবং ঘুমের মধ্যে কতক্ষণ বিরতি প্রয়োজন? জেনে নিন চিকিৎসকদের মত
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবার এবং ঘুমের মধ্যে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা বিরতি থাকা উচিত। যদি হজমের সমস্যা থাকে, তবে তিন-চার ঘন্টা বিরতি নেওয়া আরও ভালো।