সংক্ষিপ্ত

ভারতে খুব কম করেও ৫০ শতাংশ পুরুষ এই মুহূর্তে ভুগছেন উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের সমস্যায়। 

জাতীয় পরিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার তরফ থেকে সাম্প্রতিক প্রকাশিত একটি ফলাফল অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একটি সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে যে, কমবয়সীরাও ভুগছেন এই সমস্যায়। প্রায় ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের প্রতি ১০ জনের একজন আক্রান্ত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়।

আমেরিকার ‘প্লস ওয়ান’জার্নালে এই সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গত ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল অবধি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সমীক্ষাটি করা হয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর), মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পপুলেশন সায়েন্স, মাদ্রাজ ডায়াবিটিস রিসার্চ অর্গানাইজেশন সহ আরও কয়েকটি গবেষণা সংস্থা এবং সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই সমীক্ষাটি চালান।

আর তাতেই ধরা পড়ে, দেশের মোট জনসংখ্যার অন্তত ৩৫ শতাংশই উচ্চ রক্তচাপের শিকার। বেশির ভাগেরই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই এবং তার জন্য নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চিকিৎসাও করান না অনেকেই বলে জানা যাচ্ছে।

সমীক্ষার মতে, এসেনশিয়াল হাইপারটেনশনই বেশি দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয়টির কারণ নিয়ে অবশ্য গবেষণা চলছে। রক্তচাপ ১৪০/৯০ ছাড়ালেই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত বলা যায়। যে কোনও সুস্থ ব্যক্তির স্বাভাবিক রক্তচাপ হওয়া উচিত ১২০/৮০। কিন্তু যদি কারও রক্তচাপ ১৪০/৯০-এর বেশি হয়, তখন তার রক্তচাপ বেড়েছে বলা যেতে পারে।

এমনিতে ভারতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের অন্যতম কারণই হল অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বাড়তি ওজন কমানো প্রথম কাজ। ওজন বাড়তে শুরু করলে রক্তচাপও একটি পর্যায়ে গিয়ে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে। তখন ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়বে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা এবং সঠিক ডায়েট করে ওজন কমাতে হবে। বা

ইরের খাবার, ভাজাভুজি, বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়াই ভালো। তাছাড়া কাজের ফাঁকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। জিমে যাওয়ার সময় না থাকলে বাড়িতেই শরীরচর্চা করুন। হাঁটাহাঁটি, দৌড়নো, স্পট জগিং, সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে খুব ভালো হয়।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।