সংক্ষিপ্ত
এই রোগটি এতটাই মারাত্মক যে মানুষকে সচেতন করতে আন্তর্জাতিকভাবে মৃগী দিবসও পালন করা হয়। এটি প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সোমবার পালিত হয়। মৃগীরোগ কি? রোগ কেন হয় এবং এই দিনটি পালনের পিছনে লুকানো ইতিহাস কি?
আপনি নিশ্চয়ই মৃগী রোগ সম্পর্কে শুনেছেন ও এমন রোগীও নিশ্চয়ই দেখেছেন। কারও দাঁত হঠাৎ চেপে বসেছে আর যে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে এখানে মাটিতে সেখানেই পড়ে যায়। শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বেই এই সমস্যা মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি অনুমান করা যেতে পারে যে বিশ্বব্যাপী ৬৫ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এই রোগটি এতটাই মারাত্মক যে মানুষকে সচেতন করতে আন্তর্জাতিকভাবে মৃগী দিবসও পালন করা হয়। এটি প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সোমবার পালিত হয়। মৃগীরোগ কি? রোগ কেন হয় এবং এই দিনটি পালনের পিছনে লুকানো ইতিহাস কি? এটা জানা জরুরী।
মৃগী রোগ কি-
চিকিৎসকরা বলছেন, মৃগীরোগ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সমস্যা। এতে মস্তিষ্কের কিছু কাজকর্ম অস্বাভাবিক হতে থাকে। এর কারণে ব্যক্তির খিঁচুনি হতে শুরু করে। এছাড়াও ট্যুরের বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্বাভাবিক আচরণ, কাঁপুনি, দাঁত চেপে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে পরিণতি আরও মারাত্মক হতে পারে। জেনেটিক, মস্তিষ্কের যে কোনও ধরনের আঘাত, ক্যান্সার বা অন্যান্য পিণ্ড তৈরির কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
মৃগী দিবসের ইতিহাস কি?
যাদের মৃগীরোগ হয়। সাধারণভাবে তাদের দেখা হয় ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স নিয়ে। মানুষ কখনও কখনও রসিকতার পাত্র হয়ে ওঠে। এটিও অন্যান্য রোগের মতো একটি রোগ। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানুষকে সচেতন করা দরকার ছিল। এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল লীগ এগেইনস্ট এপিলেপসি এবং ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো ফর এপিলেপসি মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেয়। উভয় সংস্থাই আন্তর্জাতিক মৃগী দিবস উদযাপনের জন্য একটি সম্পূর্ণ প্রস্তাব প্রস্তুত করেছে। ২০১৫ সাল থেকে, এটি আন্তর্জাতিক মৃগী দিবস হিসাবে পালিত হয়। প্রতি বছর এই দিবসের আয়োজন করা হয়। এই দিনে মৃগীরোগ সচেতনতা কার্যক্রম, প্রচারাভিযান সমস্ত দেশে পরিচালিত হয়। এর থিম পরিবর্তিত হয়।
আরও পড়ুন- মাত্র ৩ দিনে কমবে বাড়তি মেদ, রইল বিশেষ ডায়েট চার্টের হদিশ, দেখে নিন এক ঝলকে
আরও পড়ুন- ঘুমের মধ্যে কি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
মানুষকে সচেতন হতে হবে-
ডাঃ হিতেশ কৌশিক জানান, মৃগীরোগ স্নায়ুতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত একটি রোগ। এই রোগটিও অন্যান্য রোগের মতো। এর চিকিৎসা করা উচিত। সময়-মত চিকিৎসা নিলে অবস্থা ভালো হয়। রোগী সময় মতো চিকিৎসা না পেলে তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। মানুষের মৃগীরোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। পরিবার বা আশেপাশের কোনও ব্যক্তি এ ধরনের সমস্যায় ভুগলে তার চিকিৎসা করা উচিত।