সংক্ষিপ্ত
সারা দেশের অনেক শহরের AQI অর্থাৎ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বেড়েছে। এই বিষাক্ত বাতাস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় হল ঘর থেকে যতটা সম্ভব কম বের হওয়া।
আকাশে কুয়াশা আছে। বাতাসের মানও ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শ্বাসকষ্টের রোগীদের। চোখে জ্বালাপোড়ার সমস্যাও রয়েছে। দূষণের কারণে দিল্লি ও তার আশেপাশের এলাকায় এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। একই সময়ে, সারা দেশের অনেক শহরের AQI অর্থাৎ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বেড়েছে। এই বিষাক্ত বাতাস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় হল ঘর থেকে যতটা সম্ভব কম বের হওয়া।
রোদ, দূষণ এবং গরম বাতাসের জন্য চোখে শুষ্কতা, জ্বালাপোড়ার মতো অনেক সমস্যা তৈরি হয়। এগুলি সরাসরি চোখের উপর প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ও ল্যাপটপে বসে থাকলেও চোখে জ্বালাপোড়া, চুলকানি, লালচে ভাব ও ক্লান্তির সমস্যা থেকে যায়। অনেক সময় চোখে ব্যথার কারণে মাথাব্যথা হয়। আপনি এখানে কিছু প্রতিকার দেখতে পারেন যা আপনাকে দূষণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি দেবে।
পর্দা থেকে দূরত্ব
প্রথমেই চোখের কথা বলি। দূষণের কারণে যদি চোখে তিক্ততা ও জ্বালাপোড়া হয়, জল আসে তাহলে তা হতে পারে ধোঁয়াশার প্রভাব। এটি চোখের শুষ্কতা বাড়ায়, যা চোখে মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। দূষণের কারণে যদি আপনার চোখ জ্বালাপোড়া করে, তাহলে সবার আগে মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে দূরত্ব তৈরি করুন। ৯-১০ ঘন্টা স্ক্রিনে আটকে থাকার ফলে চোখের শুষ্কতাও বেড়ে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে যেকোনো লুব্রিকেন্ট টিয়ার ড্রপ খেতে পারেন।
হাইড্রেটেড থাকুন
শরীর থেকে দূষণ বা যেকোনো ধরনের সংক্রমণ কমাতে হলে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। বেশি করে জল পান করুন, এতে শরীরে যে টক্সিন পৌঁছেছে তা বের করে দেবে। হাইড্রেটেড থাকলে চোখের শুষ্কতার সমস্যাও কম হবে।
ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন
চোখে জ্বালাপোড়া হলে ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। বিশেষ করে বাইরে থেকে আসার পর চোখ ধুতে ভুলবেন না। চোখে কোনো সমস্যা হলে বারবার হাত সেখানে যায়। আপনার হাত না ধুয়ে আপনার চোখ স্পর্শ করবেন না অন্যথায় অ্যালার্জি বা কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
লেমনেড, মরিঙ্গা পাউডার, গ্রিন টি, হালকা গরম পানীয় আপনার শরীরে গিয়ে দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ও বাদাম রাখুন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান।
আরও পড়ুন
সুস্থ থাকতে ভরসা রাখুন লঙ্কা তেলের ওপর, ঘটবে একাধিক স্বাস্থ্যের উন্নতি, জেনে নিন কীভাবে
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে ডবল হয়েছে, আজ থেকেই বন্ধ করুন এই খাবারগুলি