অ্যাডিনোভাইরাস থেকে সাবধান শিশুরা, কী করতে হবে জানালেন বিশেষ চিতিৎসক
- FB
- TW
- Linkdin
অ্যাডিনোভাইরাস
চিকিৎসকের মতে COVIDএর পাল্টা অ্যাডিনোভাইরাসে সংবেনশীল হল ১০ বছরের কম বয়সীরা। দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সীরা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপুর্ণ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। কবে দেশে অন্যান্যে রাজ্যে এই রোগের প্রাদুর্বাভ শুরু হয়েছে। দ্রুত বাড়থে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এই রোগ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। শীত থেকে বসন্ত পর্যন্ত এজাতীয় রোগ দ্রুত ছড়ায়।
মাস্ক পরা বার্ধতামূলত
দুই বছর বা তারও কম বয়সী শিশুদের জন্য অ্যাডিনো ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে। তবে সতর্কতা অবলম্বন করলে এতে অভিভাবকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িতেই চিকিৎসা করা যায় । শিশুদের মাস্ক ছাড়া বাইরে হতে দেবে না। শিশুদের ভিড়ে থেকে দূরে রাখুন।
অ্যাডিনোভাইরাসের কারণ
অ্যাডিনোভাইরাস সাধারণ সর্দি, কনজেক্টিভাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত শ্বাশসন্ত্রের অসুস্থতার কারণ। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি শ্বাসযন্ত্র ও অন্ত্রের সংক্রমণ ছড়ায়। তা থেকে সমস্যা তৈরি করে। তিনি আরও বলেন দুই থেকে ৫ বয়সী শিশুদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে সংক্রমণ হয়। তাতেই সর্দিকাশির পাশাপাশি ডায়েরিয়া হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জাও হয়।
নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই
অ্যাডিনোভাইরাসের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। প্রায় ৯০ শতাংশই হালকা কেস। কিছুদিন পরে সেরে যায় বিশ্রামের পাশাপাশি প্যারাসিটামল রীতিমত কার্যকরী। গরমজলের ভাপ বা লেবুলাইজেশন নিতে আরাম হয়।
শিশুদের সাবধান থাকতে হবে
শিশুরা যদি গুরুতর অসুস্থ হয় তাহলেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ হল শিশুদের সঠিকভাবে হাত ধুতে হবে। কাশি ও সর্দিতে আক্রান্তদের এড়িয়ে চলতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। রাজ্যের পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জানুয়ারি থেকে কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেসে পাঠানো নমুনার অন্তত ৩২ শতাংশ অ্যাডেনোভাইরাসের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করেছে।
তৈরি রাজ্য
স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিচালক (ডিএইচএস) ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেছেন, অ্যাডেনোভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, পাশাপাশি মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কোভিডের জন্য কম ছিল
গত কয়েক বছরে, কোভিড মহামারীর কারণে অ্যাডেনোভাইরাস কেসগুলি পরীক্ষা করার জন্য কোনও পরীক্ষা করা হয়নি, যার কারণে এই জাতীয় কেসগুলি অলক্ষিত ছিল৷ কিন্তু এই বছর কোভিড কমে যাওয়ায়, মানুষের পরীক্ষা চলাকালীন এই ধরনের কেসগুলি আবার দেখা দিয়েছে।
রাজ্যে তৈরি রয়ছে স্বাস্থ্য পরিষেবা
রাজ্যে অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। পেডিয়াস্ট্রিক ভেন্টিলেশনও পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
অসুস্থদের স্কুলে যেতে মানা
অসুস্থ হলে পড়ুয়াদের স্কুলে না যেতেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করারও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।