সংক্ষিপ্ত
গত তিন দশকে ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে গিয়েছে। জীবনযাত্রাতেও আমূল পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে নানা ধরনের রোগ হচ্ছে, যেগুলিকে 'লাইফস্টাইল ডিজিজ' হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
বর্তমান যুগে বেশিরভাগ মানুষই কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকার সময় যেখানে-সেখানে খেয়ে নেন। বিশ্রাম, ঘুমের সময়ের ঠিক নেই। রাত জাগার অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছে। জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। এই অবস্থায় রোগের ধরনও বদলে গিয়েছে। বর্তমানে অন্যতম পরিচিত রোগ ফ্যাটি লিভার। নীরব ঘাতক হয়ে উঠতে পারে এই রোগ। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। এই কারণে সবারই সতর্ক থাকা উচিত। নিয়মিত কোলেস্টরল পরীক্ষা করানো উচিত। শরীরে যাতে ক্ষতিকারক কোলেস্টরল বাসা বেঁধে থাকতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
কী কারণে হতে পারে ফ্যাটি লিভার?
চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টরলের মাত্রা বেড়ে গেলে দূষিত পদার্থ বেরোতে পারে না। তখনই ফ্যাটি লিভার হয়। এছাড়া ওজন বেড়ে গেলে, ডায়াবেটিস হলে, রক্তচাপ বেড়ে গেলেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। অপরিমিত মদ্যপান, রেড মিট খাওয়ার ফলেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। ওজন বেশি হওয়ার কারণে যেমন ফ্যাটি লিভার হতে পারে, তেমনই কম ওজন থাকলেও ফ্যাটি লিভার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এখন যে কোনও বয়সের মানুষই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হচ্ছেন। শিশুদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
ফ্যাটি লিভার থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কী?
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফ্যাটি লিভারের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার আগে কোলেস্টরলের দিকে নজর রাখতে হবে। শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টরল জমতে দেওয়া যাবে না। চর্বিজাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে রেড মিট যতটা সম্ভব কম খেতে হবে। মদ্যপানও মাত্রাতিরিক্ত করা চলবে না। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। তাহলেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
ফ্যাটি লিভারকে একদম অবহেলা নয়! অবশ্যই পাতে যোগ করুন এইসব খাবার, নাহলেই বিপদ
কীভাবে বুঝবেন ফ্যাটি লিভার হয়েছে? এই কয়েকটি লক্ষ্মণ দেখলেই সতর্ক হয়ে যান
পুজোয় খাওয়াদাওয়া করুন জমিয়ে, এক মাসের মধ্যে কমিয়ে ফেলুন ফ্যাটি লিভারের সমস্যা