Health News: ফ্রিজে রেখে খাচ্ছেন ফল? জানেন কোন বিপদ ডেকে আনছেন, জানুন এক ঝলকে
Health Benefits for Fruits: স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফলের কোনও জুড়ি নেই। অনেকেই আবার বেশি করে বাজার থেকে ফল কিনে এনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কী কোন ফলগুলি মোটেও ফ্রিজে রেখে খাওয়া উচিত নয়? বিশদে জানতে দেখুন ফটো গ্যালারী…
- FB
- TW
- Linkdin
)
আম (Mango)
গ্রীষ্মকালে ফলের রাজা হল এই আম। এই সময়টা নানা জাতের আম পাওয়া যায়। আর এই ফল বাজারে সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই বেশি করে কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কী? আম ফ্রিজে রাখলে তার স্বাদের মিষ্টতা হারিয়ে ফেলে। দীর্ঘদিন আম ফ্রিজে থাকলে শক্ত হয়ে যায়। খেতেও ভালো লাগে না। হারিয়ে যায় পুষ্টিগুনও।
পেঁপে (Papaya)
কাঁচা হোক বা পাকা। পেঁপে সবজি হিসেবে এবং ফল হিসেবে শরীরের জন্য দারুন উপকারি। কিন্তু জানেন কী আপনি পেঁপে যদি ফ্রিজে রেখে খাওয়া হয় তাহলে কী হতে পারে? এই ফল ফ্রিজে রেখে খেলে এই কোমলতা ও মিষ্টতা কমে যায় ফলে স্বাদহীন হয়ে পড়ে পেঁঁপে। দীর্ঘদিন পেঁপে ফ্রিজে থাকলে শক্ত হয়ে যায়। কমে যায় পুষ্টিগুনও।
কলা (Banana)
কলা কখনই ফ্রিজে রেখে খাওয়া উচিত নয়। কলা ফ্রিজে রেখে খেলে এর পুষ্টিগুন হারিয়ে যায়। কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে কলা সবসময় এমন জায়গায় রাখা উটিত যেখানে বায়ু চলাচল ভালো হয়।
টমেটো (Tomato)
টমেটোকে আমরা ফল আবার সবজি হিসেবেও ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু টমেটো যদি দীর্ঘদিন ফ্রিজে রেখে খাওয়া হয় তাহলে এর স্বাদ ও গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টমেটোর এনজাইম প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে এটি দীর্ঘ দিন ফ্রিজে রাখলে পচে যায় ধীরে ধীরে।
আলু (Potato)
আলু সাধারণত অনেক রকমের হয়। কোনও আলু আমরা সবজি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করি। আবার কোনও আলু যেমন, শাকআলু, মিষ্টি আলু আমরা ফল হিসেবেও খেয়ে থাকি। কিন্তু আলু ফ্রিজে রাখলে এর স্টার্চ চিনিতে রূপান্তরিত হয়। ঠান্ডা তাপমাত্রায় আলুতে অ্যাক্রিলামাইড রাসায়নিকের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
ফল সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে হারিয়ে যায় পুষ্টিগুন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ফল সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করতে না পারলে এর পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়। যারফলে আপনি যতই ফল খান না কেন কোনও উপকারই মিলবে না। ফলে সবসময় চেষ্টা করবেন ঘরের তাপমাত্রায় ফল রাখার। এবং কাটা ফল কখনই খাওয়া উচিত নয়। সবসময় ফল কেটে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নেওয়া উচিত। এতে ফলের পুষ্টিগুন ও স্বাদ দুটোই ভালো থাকে।