সংক্ষিপ্ত
হেপাটাইটিস এবং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিস হতে পারে। এই রোগে ইনফেকশন হয় এবং লিভারের কোষে দাগ পড়ে। সিরোসিস খারাপ হওয়ার সাথে সাথে অনেক কোষ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়,
আজকাল মানুষের মধ্যে লিভারের রোগ দ্রুত বাড়ছে। লক্ষণীয় বিষয় হল যে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই লিভার বা যকৃতের রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই বা তারা তাদের লক্ষণগুলি চিনতে পারে না। এরকম একটি রোগ হল লিভার সিরোসিস। এই রোগের শুরুতে এমন কিছু উপসর্গ দীর্ঘ সময় ধরে থাকে যেগুলো আমরা চিনতে পারি না। তারপর এই রোগ সময়ের সাথে বাড়তে থাকে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সময়মত এই রোগকে চিনে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা যায়, তবে তা নিরাময় সম্ভব। তাহলে চলুন জেনে নিই লিভার সিরোসিসের কারণ ও এর ৫টি প্রধান লক্ষণ।
লিভার সিরোসিসের কারণ
হেপাটাইটিস এবং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিস হতে পারে। এই রোগে ইনফেকশন হয় এবং লিভারের কোষে দাগ পড়ে। সিরোসিস খারাপ হওয়ার সাথে সাথে অনেক কোষ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়, যা লিভারের কাজ করা কঠিন করে তোলে। এমন অবস্থায় শরীরে নানা উপসর্গ দেখা যায়।
লিভার সিরোসিসের ৫টি লক্ষণ
১. পা ফুলে যাওয়া
পা ক্রমাগত ফোলা একটি লক্ষণ যে আপনার শরীরে জলের পরিমাণ বাড়ছে। অর্থাৎ আপনার শরীরের কিছু অংশ ফিল্টার করা বর্জ্য তরল বের করতে পারছে না। এটি আসলে লিভারের কার্যকারিতার সাথে সম্পর্কিত যেখানে সিরোসিস রোগে জল ধরে রাখার সমস্যা বাড়ে এবং পা ফুলে যায়।
২. মুখে - ত্বকে হলুদ বিবর্ণতা
মুখ হলুদ হওয়া একটি লক্ষণ যে আপনার শরীরে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়েছে। এটি ঘটে যখন লিভার তার কাজ সঠিকভাবে করতে অক্ষম হয় এবং শরীরে বর্জ্য জমা হয়। এই বিলিরুবিন ত্বকের ঠিক নীচে চর্বির স্তরে দ্রবীভূত হয়, যার ফলে ত্বক এবং চোখ হলুদ দেখায়।
৩. ত্বকে মাকড়সার মতো রক্তনালী
ত্বকে মাকড়সার মতো রক্তনালীগুলি একটি লক্ষণ যে আপনার লিভার সিরোসিস হতে পারে। স্পাইডার অ্যাঞ্জিওমা লিভার সিরোসিসের একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি নিয়মিত মদ্যপানকারীদের মধ্যে দেখা যায়। এটি খাদ্যনালীতে ভেরিসিয়াল রক্তপাতের সাথে যুক্ত হতে পারে, যার কারণে ত্বকে মাকড়সার মতো রক্তনালী দেখা যায়।
৪. খিদে কমে যাওয়া ও পেটের সমস্যা
খিদে কমে যাওয়া এবং পেটের সমস্যা কখনও কখনও আপনার লিভার সঠিকভাবে কাজ করছে না এমন একটি লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। হ্যাঁ, লিভার সিরোসিস হলে আপনি ক্ষুধার্ত বোধ করবেন না। এর সাথে, আপনাকে পেট সংক্রান্ত সমস্যা যেমন কখনও ডায়রিয়া এবং কখনও কখনও কোষ্ঠকাঠিন্যের মুখোমুখি হতে হতে পারে।
৫. ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
লিভারের কাজ করা কমে যাওয়ার কারণে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ বিপাকীয় কাজগুলি সম্পাদন করা কঠিন হতে পারে। এর ফলে শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং শারীরিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।