সংক্ষিপ্ত
কাজের চাপ ও বেতনের ভারসাম্যহীনতা উভয়ই রিপোর্ট করা পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকিকে দ্বিগুণ করেছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে মহিলাদের হার্টের স্বাস্থ্যও কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে।
নতুন একটি সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, যে পুরুষরা অত্যাধিক চাপ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে কাজ করে তাদের মধ্যে এমনিতেই হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। তবে সেই হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয় যদি পুরুষরা কম বেতনে অত্যাধিক চাপ নিয়ে কাজ করে থাকেন। ‘সার্কুলেশন: কার্ডিওভাসকুলার কোয়ালিটি অ্যান্ড আউটকামস’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে দুটি মানসিক চাপ- কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ ও বেতনের ভারসাম্যহীনতা পুরুষদের অত্যান্ত উদ্বিগ্ন করে। যা তাদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
রিপোর্টে কুইবেকের CHU de Quebec-University Laval Research Center, কানাডার প্রধান ম্যাথিল্ড ল্যাভিগনে-রবিচৌড, 'যেসব পুরুষরা কর্মক্ষেত্রে অত্যাধিক সময় ব্যায় করে তারা বিবেচনা করে, কাজের চাপ এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক বোঝা জনস্বাস্থ্য এবং কর্মশক্তির সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ '। সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে সমস্ত পুরুষরা চাকরির চাপ ও বেতনের ভারসাম্যহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৪৯ শতাংশ বেড়েছে।
যাইহোক কাজের চাপ ও বেতনের ভারসাম্যহীনতা উভয়ই রিপোর্ট করা পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকিকে দ্বিগুণ করেছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে মহিলাদের হার্টের স্বাস্থ্যও কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে। Lavigne-Robichaud এর মতে, 'জব স্ট্রেন' বলতে কাজের পরিবেশ বোঝায় যেখানে কর্মীরা উচ্চ কাজের চাহিদা এবং তাদের কাজের উপর কম নিয়ন্ত্রণের সংমিশ্রণের মুখোমুখি হন। রিপোর্টে বলা হয়ছে কর্মক্ষেত্রে যারা প্রচুর চাপ নেয় কিন্তু প্রয়োজনীয় পারিশ্রমিক পায় না - সেটা তাদের শুধু হার্ট নয় মনের ওপরেও চাপ তৈরি করে। গবেষকরা ৬৫০০ কর্মীর ওপর সমীক্ষা চালিয়েছিল যাদের গড় বয়স ৪৫। তারপরই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
এক গবেষক বলেছেন, তাদের গবেষণা স্পষ্ট যে যে কাজের পরিবেশ থেকে চাপ কমানোর পদক্ষেপ করতে হবে। কারণ কর্মক্ষেত্র চাপ পুরুষ ও মহিলাদের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। যা অনেক সময়ই কর্মীদের বাড়িতে প্রভাব ফেলে।