সংক্ষিপ্ত
বাজারে অনেক ধরনের তেল পাওয়া গেলেও শিশুর মালিশের জন্য এই সময় অলিভ অয়েলের বেশ ভালো তেল। কারণ এই তেল এর নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
নবজাতক শিশুর ত্বক অনেক নরম হয়, তাই এর বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। তবে গরম বলে এই সময় বাচ্চার তেল মালিশ বন্ধ করে দেবেন না। গরমেও বাচ্চার তেল মালিশ করা প্রয়োজন। এই সময় ত্বকে তেল মালিশ করলে আপনার সন্তানের ত্বকের কোনও সমস্যা হবে না। বাজারে অনেক ধরনের তেল পাওয়া গেলেও শিশুর মালিশের জন্য এই সময় অলিভ অয়েলের বেশ ভালো তেল। কারণ এই তেল এর নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
অলিভ অয়েল দিয়ে শিশুদের মালিশ করার ৫ উপকারিতা
ত্বক ময়শ্চারাইজ থাকে- শিশুর ত্বক খুব নরম এবং জলপাই তেল ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। তাই এই তেল দিয়ে মালিশ করলে শিশুর ত্বক নরম ও কোমল থাকে।
ত্বকে পুষ্টি যোগায়- অলিভ অয়েলে রয়েছে স্কোয়ালিন, যা একটি হাইড্রেটিং এজেন্ট, যা আপনার শিশুর ত্বককে নরম ও পুষ্ট রাখতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল প্রতিটি ঋতুতেই উপকারী- বিশেষ বিষয় হল আপনি প্রতি মৌসুমে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। শুধু মনে রাখতে হবে যে গ্রীষ্মকালে তেল কম খাওয়া উচিত এবং শীতকালে একটু বেশি পরিমাণে তেল নিতে পারেন কারণ এই সময়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
ডায়াপারের ফুসকুড়ি পরিত্রাণ পেতে- বর্তমানে শিশুদের ডায়াপার পরার কারণে র্যাশের সমস্যা দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াপার র্যাশের ঘরোয়া উপায় হিসেবে অলিভ অয়েল নিতে পারেন। এ জন্য প্রথমে শিশুর ফুসকুড়ি অংশে হালকা গরম অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন। এর ফলে শিশুর শরীরে কোনও ফুসকুড়ি থাকবে না।
চুলের জন্য উপকারী- অলিভ অয়েলে ভিটামিন ই পাওয়া যায়, যার সাহায্যে শিশুদের চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। চুল নরম ও সুন্দর থাকে। এই তেল শিশুর চুলে লাগিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে পারেন।
আরও পড়ুন- ভিটামিন কে-এর অভাব হার্টকে দুর্বল করে দিতে পারে, এই সবজি খেলে দূর হবে টেনশনও
আরও পড়ুন- পাতলা প্লাস্টিকের বোতলে ফ্রিজে রাখা উচিত নয় কেন, জেনে নিন কেন বার বার সতর্ক করছেন গবেষকরা
ভালো ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়- স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের ভালো ঘুম হওয়া খুবই জরুরি। এর ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ভালোভাবে হয়। শিশুদের ভালো ঘুমের জন্য অলিভ অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
এসব বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিন- শিশুর কোনোও ধরনের অ্যালার্জি থাকলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন না। যদি এই তেল ব্যবহার করে শরীরে ফুসকুড়ি আসতে শুরু করে তবে এটি ব্যবহার বন্ধ করুন। এছাড়াও আপনি কোন প্রকার ভেজাল অলিভ অয়েল ব্যবহার করছেন না তা নিশ্চিত করুন।