সংক্ষিপ্ত
অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে, এর পাশাপাশি ওজনও বেড়ে যেতে পারে ব্যাপক পরিমাণে।
খিদের সময় কিসমিস খেলে পেট অনেকক্ষণ ধরে ভর্তি থাকে, কিসমিসের অনেকগুলি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করতে, রক্তাল্পতার চিকিৎসায়, হজমশক্তি বাড়াতে এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে কিসমিস। কিন্তু, খাওয়ার পরিমাণ যদি অত্যন্ত বেশি হয়ে যায়, তাহলে তা ঘটাতে পারে সর্বনাশ।
প্রচুর পরিমাণে কিসমিস খেলে বেড়ে যেতে পারে ওজন। প্রাকৃতিক শর্করা এবং শুকনো হওয়ার কারণে কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে গেলে হু হু করে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
কিসমিসে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ সহ অনেকগুলি প্রাকৃতিক শর্করা বেশি থাকে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। দাঁতের গায়ে কালো গহ্বর তৈরি হয় এবং মাড়িরও ক্ষতি হতে পারে।
খাদ্যতালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার বা তন্তু যোগ করে কিসমিস। পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে এটি হজমে সাহায্য করে। কিন্তু, অত্যধিক ফাইবার গ্রহণ করলে শরীরে গ্যাস, পেট-ফোলাভাব এবং ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের হজমের গণ্ডগোল-জাতীয় রোগ বাড়তে পারে।
কিসমিসে চিনি এবং ক্যালোরি বেশি থাকে, ফলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। উচ্চ পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনির কারণে একসাথে অনেকটা কিসমিস খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগে ভুক্তভোগীরা অবশ্যই সাবধান থাকুন।
কিসমিস বেশ কিছু খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, যেমন পটাসিয়াম এবং আয়রন। যদিও এই খনিজগুলি স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু অত্যধিক সেবন করলে শরীরে খনিজ স্তরে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে, যা হাইপারক্যালেমিয়া (উচ্চ পটাসিয়ামের মাত্রা) বা আয়রন ওভারলোডের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।