সংক্ষিপ্ত

ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি -র মত পুষ্টির সম্ভার রয়েছে দুধের মধ্যে।কিন্তু কতগুলি খাবার রয়েছে যা দুধের সঙ্গে খাওয়ার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।

 

খাদ্যের তালিকায় দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি -র মত পুষ্টির সম্ভার রয়েছে দুধের মধ্যে। নিত্যদিন দুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। ছোটোদের পাশেপাশি অনেক পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি নিয়মিত দুধ খান। কিন্তু দুধের সঙ্গে এমন কতগুলি খাবার রয়েছে যা ভুলেও খাবেন না। সন্তানের স্বাস্থ্যে জন্য সেগুলি কখনই দুধের সঙ্গে পরিবেশন করবেন না।

খাবারগুলি হলঃ

সাইট্রাস ফল

দুধের সঙ্গে সাইট্রাস ফল - কমলালেবু বা যেকোনও লেবু কখনই দেবেন না সন্তানের পাতে। নিজেও খাবেন না। কারণ এজাতীয় ফলে সাইট্রাস অ্যাসিড থাকে যা দুধকে দইতে পরিণত করে। প্রোটিনগুলি নষ্ট হয়ে যায়। হজমের সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস বা অম্বল হতে পারে। সাইট্রাস অ্যাসিড থাকা ফল আর দুব সর্বদাই কিছু সময় অন্তর পরিবেশন করা শ্রেয়।

নোনতা স্ন্যাক্সস

দুধের সঙ্গে নিজে কখনই নোনতা বিস্কুট খাবেন না। তেমনই সন্তানকেও দেবেন না। শুধু বিস্কুট নয়, দুখের সঙ্গে বা দুখ খাওয়ার আগে পরে চিপস, ক্র্যাকার এড়িয়ে যান। লবণাক্ত খাবার শরীরের মধ্যে জলশূন্যতা তৈরি করে। যা হজম শক্তি কমিয়ে দেয়। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দেখা দিয়ে পারে। শরীরে সর্বদা অস্বস্তি হয়।

তরমুজ

দুধের সঙ্গে তরমুজ খাবেন না। তরমুজের সরবত করলেও তাতে দুধ দেবেন না। তরমুজে উপস্থিত অ্যাসিড দুধের প্রোটিনকে নষ্ট করে দেয়। দুধ বা দইয়ের সঙ্গেও তরমুজ খাবেন না। খেলে অস্বস্তি বাড়বে।

আঙুর

অনেকেই রয়েছেন যারা কনফ্লেক্সের সঙ্গে অনেক রকম ফল মিশিয়ে খান। তারমধ্যে থাকে আঙুরও। দুধের সঙ্গে আঙুর খাওয়া মারাত্মক। ধে উপস্থিত প্রোটিন যখন আঙ্গুরের অ্যাসিডিক প্রকৃতি এবং এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি-এর সংস্পর্শে আসে তখন দৃঢ় হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই মিথস্ক্রিয়া গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি, ব্যথা এবং এমনকি ডায়রিয়া হতে পারে।

দুধ খাওয়ার আগে ও পরে অবশ্যই জল খাবেন। তাহলে শরীর অনেক সুস্থ থাকে। পাশাপাশি দাঁত ভাল থাকে।

অভিভাবকদের, পরিবর্তে তাদের সন্তানদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানীয় দেওয়া উচিত যাতে তারা সর্বোত্তম স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছে তা নিশ্চিত করতে।