সংক্ষিপ্ত

রোগ বা মৃত্যু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা এলে মনে মনে 'থেমো' বলুন। এর অর্থ হল, এখন আর উদ্বেগ অনুভব করতে রাজি নই। আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষয়গুলোকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে রাজি নই।

রোগ নিয়ে অতিরিক্ত ভয়কে হাইপোকন্ড্রিয়া বলা হয়। একইভাবে, অনেকে মৃত্যু নিয়েও অতিরিক্ত চিন্তা করেন। আমার কি কোনো রোগ হবে, এই চিন্তা সবসময় মনের শান্তি নষ্ট করে। কখনও কখনও শুধু আমারই নয়, আমার প্রিয়জনদেরও অসুস্থতা নিয়ে ভয় পাই।

ছোট্ট একটি ক্ষত বা ব্যথাও কখনও কখনও ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ বলে মনে হয়। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো গুরুতর অসুস্থতা থাকে না। কারও মৃত্যুর খবর শুনলে, আমারও কি এমন হবে, নাকি আমার প্রিয়জনদেরও হারাবো, এই ভয় মনে ভর করে। এই চিন্তার কারণে ঘুমাতে বা খেতেও পারি না। শরীরে স্বাভাবিকভাবে ঘটে যাওয়া ঘটনা, যেমন দ্রুত হাঁটলে হাঁপিয়ে যাওয়া, এমনকি হার্ট অ্যাটাক বলে মনে হয়।

কগনিটিভ বিহেভিয়র থেরাপি (CBT) নামক মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসার 'থট স্টপিং' কৌশল এই ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। রোগ বা মৃত্যু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা বুঝতে হবে।

ভবিষ্যতের নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে বর্তমান মুহূর্তে শান্ত থাকার কারণগুলোতে মনোযোগ দিন। এভাবে মনের শান্তি খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। ভবিষ্যতের নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে বর্তমান স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো কিনা, উন্নতির প্রয়োজন আছে কিনা, সেটা নিয়ে ভাবুন।

রোগ বা মৃত্যু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা এলে মনে মনে 'থেমো' বলুন। এর অর্থ হল, এখন আর উদ্বেগ অনুভব করতে রাজি নই। আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষয়গুলোকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে রাজি নই।

যতবার উদ্বেগজনক চিন্তা আসবে, ততবার এই কৌশলটি প্রয়োগ করুন। এক বা দুইবার চেষ্টা করলেই পরিবর্তন আসবে না। আগামী কয়েকদিন ধরে অনুশীলন করতে হবে। এভাবে উদ্বেগজনক চিন্তা কমে আসবে। ধীরে ধীরে যুক্তিসঙ্গত চিন্তা করতে শুরু করবেন। কারও মৃত্যুর খবর শুনলে বা শরীরে সামান্য ব্যথা হলেও ভয় কমে যাবে।

উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো অর্থ নেই, কোনো সমস্যা হলে তখনই সেটা নিয়ে চিন্তা করব, এই সাহস মনে আসবে। যদি নিজে নিজে এই কৌশলটি প্রয়োগ করতে না পারেন, তাহলে একজন মনোবিদের সাহায্য নিন।

উদ্বেগ আজকাল অনেক মানুষেরই একটি সমস্যা। উদ্বেগজনক চিন্তা থেকে মনকে সরিয়ে নিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।