সংক্ষিপ্ত
আসল ঘটনা হল ওজন কমাতে আলু খুবই উপকারী। ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান আলুতে পাওয়া যায়। আলু শুধু পেটের চর্বি কমায় না, হজমে সাহায্য করে এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকিও দূর করে।
ওজন কমাতে ও পেটের চর্বি কমাতে সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য, একটি গড় পরিকল্পনা প্রয়োজন, যেখানে আপনি এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন যা ওজন কমায়। কিন্তু জানেন কি কোন খাবার খেলে পেটের মেদ কমে। ওজন কমানোর জন্য আপনাকে বিশেষ কোনো ডায়েট নিতে হবে না। আপনার ডায়েটে প্রতিদিন ব্যবহৃত একটি খাবার দ্রুত ওজন কমাতে উপকারী।
আলুকে সবজির রাজা বলা হয় কারণ এটি প্রায় প্রতিটি সবজিতে মিশিয়ে রান্না করা হয়, এমনকি মানুষ এটিকে নন-ভেজ আইটেমে মেশাতেও ভোলেন না। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটা সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে যারা ওজন কমাতে চান তাদের আলু খাওয়া কমাতে হবে।
কিন্তু আসল ঘটনা হল ওজন কমাতে আলু খুবই উপকারী। ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান আলুতে পাওয়া যায়। আলু শুধু পেটের চর্বি কমায় না, হজমে সাহায্য করে এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকিও দূর করে। ওজন কমানোর জন্য আলুও একটি দুর্দান্ত বিকল্প কারণ এটি চর্বিমুক্ত এবং কম ক্যালোরি। কিন্তু ওজন কমাতে কীভাবে আলু খাওয়া যায় তা জানা জরুরি। আসুন জেনে নিই আলুর স্বাস্থ্যকর উপকারিতা এবং আলু খাওয়ার পদ্ধতি।
আলুতে পাওয়া যায় পুষ্টিগুণ
বলা হয়ে থাকে সাদা রঙ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যেমন চিনি, চাল ও লবণ কিন্তু আলু সাদা হোক বা মিষ্টি, ওজন কমাতে সহায়ক। কলার চেয়ে আলুতে পটাশিয়াম বেশি থাকে। আলুতে ফ্যাট এবং কম ক্যালোরি থাকে।
আলু খাওয়ার উপকারিতা
শুধুমাত্র সাধারণ সেদ্ধ আলু খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং দ্রুত ক্ষিধে পায় না। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মোটা মানুষের 'বদহজম' সমস্যা থাকতে পারে, আলু খাবার হজম করতে উপকারী।
আলু ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি দূরে রাখে।
আলুতে এমন যৌগ রয়েছে যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ, ইনসুলিন, প্রদাহ এবং ঘুমকে প্রভাবিত করে।
আলু খাওয়ার পদ্ধতি
ডায়েটিশিয়ান ও নিউট্রিশনিস্টের মতে, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে আলু খান। কিন্তু আলু খাওয়ার সময় অন্য কোনো খাবার আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করবেন না।
আলু নানাভাবে খাওয়া যায়। সেদ্ধ আলু খাওয়ার পাশাপাশি আলু বেক করে বা স্টিম করে খেতে পারেন। তবে এ ধরনের আলু খাওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।
আপনি চাইলে আলুতে খুব অল্প পরিমাণে সামুদ্রিক লবণ বা শিলা লবণ যোগ করতে পারেন। তবে বেশি লবণ খাবেন না।