সংক্ষিপ্ত
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজি পটকা থেকে নির্গত ধোঁয়া মা ও শিশু উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে। আতশবাজি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং পার্টিকুলেট ম্যাটার সহ অনেক বিষাক্ত উপাদান থাকে।
সামনেই দীপাবলির উৎসব আসতে চলেছে। এই উৎসব রঙিন পোশাক, সাজগোজ, খাওয়া দাওয়া আর আলোর রোশনাইয়ের উৎসব। সেই সঙ্গে থাকে দেদার বাজি পোড়ানোর মজা। কিন্তু এগুলো পরিবেশেরও ক্ষতি করে। বিশেষ করে, গর্ভবতী মহিলাদের এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজি পটকা থেকে নির্গত ধোঁয়া মা ও শিশু উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে। আতশবাজি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং পার্টিকুলেট ম্যাটার সহ অনেক বিষাক্ত উপাদান থাকে। গর্ভাবস্থায় মহিলারা এই দূষণের সংস্পর্শে এলে এই বিপজ্জনক গ্যাসগুলি শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি করতে পারে।
ত্বকের এলার্জি
খুব জোরে ফাটতে থাকা বাজিগুলি আরও দূষণের কারণ হয় এবং তাদের সংস্পর্শে আসার কারণে ত্বকে অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আতশবাজির রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের মাধ্যমে শরীরে পৌঁছাতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, যে কোনও গর্ভবতী মহিলার বাজি থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।
হাঁপানি হতে পারে
বাজি থেকে নির্গত ধোঁয়া গর্ভবতী মহিলাদের হাঁপানির সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ কারণে গর্ভবতী মহিলাদের শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। এজন্য তাদের বাজি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
গর্ভাবস্থায়, আতশবাজির মতো রাসায়নিক জিনিস থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। প্রদীপ এবং প্রাকৃতিক ধূপকাঠি ব্যবহার করে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দীপাবলি উদযাপন করা যেতে পারে। ঘর পরিষ্কারের ময়লা এবং ধুলোবালি, আতশবাজি এবং বাতির ধোঁয়া উল্লেখযোগ্যভাবে দূষণ বাড়ায়। সেক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করুন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আপনি গর্ভাবস্থার ০ থেকে ৫ মাস পর্যন্ত বাজি পোড়াতে পারেন, তবে আপনাকে শেষ তিন মাসে খুব সতর্ক থাকতে হবে। তবে পটকা ফাটার আগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।