সংক্ষিপ্ত

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বৃহস্পতিবার ক্যান্সার চিকিৎসার জ্য ভারতের প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নত CAR- T থেরাপি চালু করেছেন। ক্যান্সার চিকিৎসায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বৃহস্পতিবার ক্যান্সার চিকিৎসার জ্য ভারতের প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নত CAR- T থেরাপি চালু করেছেন। ক্যান্সার চিকিৎসায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আশা করেছেন। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করা মানবজাতির জন্য একটি নতুন আশা জাগিয়েছে বলেও তিনি মনে করেছেন।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (IIT) বোম্বে ও টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে। জিন-ভিত্তিক থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা হবে। এর আগে ভারতের বাইরে এজাতীয় চিকিৎসা হত। এবার দেশেই এই চিকিৎসা শুরু হবে। খরচ অনেকটাই কমে যাবে বলেও আশা করেছেন এক চিকিৎসক।

আইআইটি বোম্বের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, এই থেরাপি দেশীয় ভাবে বিকাশ মেক ইন ইন্ডিয়ার একটি উদ্যোগের উদাহরণ। এই থেরাপির মাধ্যমে রোগীর টি কোষ( এক ধরনের ইমিউন সিস্টেম সেল) পরীক্ষাগারে পরিবর্তন করা হবে। যেগুলি ক্যান্সারের কোষকে আক্রমণ ও ধ্বংস করতে পারবে। আর সেই উদ্দেশ্যেই তৈরি করা টি-কোষগুলিকে ব্যবহার করা হবে। 'NexCAR19 CAR T-সেল থেরাপি' হল দেশের প্রথম 'মেড ইন ইন্ডিয়া' CAR T-সেল থেরাপি যা চিকিত্সার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই থেরাপি চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি অসাধারণ অগ্রগতি বলে বিবেচিত হয় বলেও দাবি করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

এদিন দ্রৌপদী মুর্মু আরও বলেছেন, 'ভারতের প্রথম জিন থেরাপির সূচনা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধে একটি বড় জয়। সিএআর-টি সেল থেরাপি এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে সহজলক্ষ্য ও সাশ্রয়ী করে দেবে। মানবজাতির কাছে এটি একটি নতুন আশা।'

টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের চিকিৎসক সুদীপ গুপ্তা বলেন, সাধারণত সিএআর টি - সেল থেরাপি অথ্যান্ত খরচ সাপেক্ষ। কিন্তু দেশীয়ভাবে তৈরি এই থেরাপি অনেক মানুষের উপকার করতে পারবে। বোম্বে আইআইটির ডিরেক্টর অধ্যাপক শুভাশিস চৌধুরী বলেন, বিদেশে এই চিকিৎসার জন্য খচর হয় ৪ কোটি টাকা। সেখানে ভারতে খরচ হবে ৩০ লক্ষ টাকা। তাঁর কথায়, 'যেমন চন্দ্রযান-3 অভিজাত স্পেস ক্লাবে ভারতের প্রবেশ শুরু করেছিল, তেমনই CAR-T সেল থেরাপি সেল এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপে ভারতের প্রবেশের সূচনা করে।' ভারতে এই থেরাপির নাম NexCar19। এটি প্রচুর মানুষের প্রাণ বাঁচাবে বলেও আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।