সংক্ষিপ্ত
যদি বারবার চোখ চুলকায়, তাহলে জ্বালাপোড়া ও সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে এচিং না করে কিছু বিশেষ ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা উচিত। এই রেসিপিগুলি দাদিদের সময় থেকে চলে আসছে।
চোখে চুলকানি একটি সাধারণ বিষয়। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন দূষণ, ধুলাবালি, ধোঁয়া এবং সংক্রমণ। এগুলোর কারণে চোখে জ্বালাপোড়া শুরু হয়, যা চুলকানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন অবস্থায় বারবার চোখ চুলকায়, তাহলে জ্বালাপোড়া ও সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে এচিং না করে কিছু বিশেষ ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা উচিত। এই রেসিপিগুলি দাদিদের সময় থেকে চলে আসছে।
চোখের চুলকানির প্রতিকার-
১) ঠান্ডা জলের ঝাপটা-
পরিষ্কার জল দিয়ে আপনার চোখ ধুয়ে নিন, চোখে চুলকানি থাকলে ঘাবড়াবেন না। এর জন্য চুলকানির পরিবর্তে পরিষ্কার ও ঠান্ডা জল ছিটিয়ে দিন। এতে করে চোখের জ্বালা থেকে তাৎক্ষণিক আরাম পাবেন, যাতে বারবার চুলকাতে হবে না।
২) গোলাপ জল-
যদি আপনি কেমিক্যাল মুক্ত গোলাপ জল ব্যবহার করেন তবে তা চোখের জন্য ওষুধের থেকে কম নয়। এর জন্য তুলোর বলের সাহায্যে চোখে গোলাপজল লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) অ্যালোভেরা জেল-
আমরা সাধারণত ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করি, তবে এটি চোখের চুলকানি থেকেও মুক্তি দিতে পারে কারণ এতে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর জন্য আপনার বাড়ির পাত্রে লাগানো অ্যালোভেরা গাছের পাতা নিন এবং তা থেকে জেল বের করে নিন। এবার তুলোর সাহায্যে চোখের চারপাশে লাগান। কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
৪) দুধ ব্যবহার করুন-
যখন চোখে এমন সমস্যা হয়, তখন দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ এটি চোখের জন্য খুবই উপকারী। চুলকানির ক্ষেত্রে তুলোর বলের সাহায্যে চোখে ঠাণ্ডা দুধ লাগান। এতে করে জ্বালাপোড়া দ্রুত চলে যাবে।