সংক্ষিপ্ত

দিনে দুবার ভাত খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, ওজন বাড়ে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। 

ভাত আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য। তাই অনেকেই দিনে তিনবেলা ভাত খান। ভাত খেলে পেট ভরে। সেই সাথে শরীরও শক্তিশালী থাকে। তাই অনেকেই প্রতিদিন ভাত খান।

তবে, কিছু লোক দিনে তিনবারের পরিবর্তে দুবার খান। অর্থাৎ সকালে ইডলি, দোসা ইত্যাদি নাশতা করার পর দুপুর এবং রাতে পেট ভরে ভাত খান। কিন্তু দিনে দুবার ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয় না। কেন তা জেনে নেওয়া যাক।

 

রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়

যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ভাত খাওয়া উচিত নয়। কারণ সাদা ভাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকে। এটি খাওয়ার পরপরই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ভাত খাওয়া উচিত নয়। শুধু তাই নয়, দিনে দুবার ভাত খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে।

ওজন বৃদ্ধি পায়

যাদের ওজন কমাতে হবে বা ধরে রাখতে হবে তাদের দিনে দুবার ভাত খাওয়া উচিত নয়। কারণ ভাতে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে। দিনে দুবার ভাত খেলে ওজন বাড়বে। মোটা হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়বে। তাই এর পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।

হৃদরোগ

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হৃদরোগীদেরও বেশি ভাত খাওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা বেশি ভাত খান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে এ বিষয়ে কোন স্পষ্ট গবেষণা হয়নি।

হজমের সমস্যা

পেট ভরে ভাত খেলে হজমের সমস্যা অবশ্যই হয়। বিশেষ করে গ্যাস, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যথা ইত্যাদি হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কারণ ভাতে স্টার্চ বেশি থাকে। এর ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।

পুষ্টির অভাব

যারা প্রচুর ভাত খান তাদের পুষ্টির অভাব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ ভাতে খুব বেশি পুষ্টি উপাদান থাকে না। তারা অন্যান্য খাবারও খায় না। এর ফলে তাদের শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ পদার্থের অভাব দেখা দিতে পারে। ফলে তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।

তাহলে আমাদের কি করা উচিত?

যদি আপনি দিনে দুবার ভাত খান, তাহলে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শস্য, শাকসবজি এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে। পুষ্টির অভাব পূরণ করবে। এর ফলে আপনার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।