সংক্ষিপ্ত
কাশি, সর্দি এবং জ্বরের মতো সমস্যা এড়াতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া উচিত। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে তা শরীরকে সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
এখন আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হয়েছে। যেখানে শুরু হয়েছে প্রচণ্ড ঠান্ডা থেকে স্বস্তি। সেই সঙ্গে এই পরিবর্তনশীল ঋতুতে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে, আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কাশি, সর্দি এবং জ্বরের মতো সমস্যা এড়াতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া উচিত। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে তা শরীরকে সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
আজকাল মৌসুমী রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই জিনিসগুলো যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট রোগের বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে।
হলুদ দুধ-
আমাদের বাড়ির বড়রা সব সময় হলুদ দুধ পান করার পরামর্শ দেন। আসলে, হলুদের দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
টক জিনিস-
আপনি লেবু, কমলা, কিউই এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফল খেয়ে আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারেন। এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো বলে বিবেচিত হয়।
শুষ্ক ফল-
শুকনো ফল এবং বাদাম পুষ্টিতে সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে। বাদাম, আখরোট, পেস্তা, কাজু, কিশমিশ খাওয়া খুব উপকারী হতে পারে, এগুলো সবই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ, যা আমাদের শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়।
ক্বাথ-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে আদা, মেথি, এলাচ, অরিগানো, জিরার মতো ভেষজ গ্রহণ করা যেতে পারে। আপনি এটি থেকে স্যুপ, তরকারি বা ক্বাথ তৈরি করে পান করতে পারেন। চা বানিয়ে পানও করতে পারেন। এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য-
পরিবর্তনশীল ঋতুতে আপনার খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। তাই সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের কথা মাথায় রাখুন। আপনার খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, দই, দুধ এবং গোটা শস্য অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন এবং বাইরের খাবার কম খান।