সংক্ষিপ্ত

মানুষ মানসিক চাপ উপশম করার জন্য অনেক ব্যবস্থা নেয়। আপনিও যদি মানসিক চাপে ভুগছেন তাহলে স্ট্রেস বল ব্যবহার করা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রেস বল ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে।

বর্তমান যুগে তরুণদের পাশাপাশি সব বয়সের মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ দ্রুত বাড়ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরে। মানসিক চাপ দীর্ঘদিন ধরে থাকলে তা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এবং মানসিক ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।

বর্তমানে স্ট্রেসের সমস্যায় ভুগছেন প্রায় সকলেই। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা নিয়ে মানসিক চাপ, অফিসে সময় মতো কাজ শেষ করা নিয়ে মানসিক চাপ, এর সঙ্গে পারিবারিক কারণ তো আছেই। নানান কারণে মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন অনেকে। আর এই মানসিক চাপ ডেকে আনছে একাধিক রোগ। অল্প বয়সেই একাধিক কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এই তালিকায় ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, হার্টের রোগের মতো একাধিক রোগ স্থান পেয়েছে। এই সকল রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধকে তা বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে সবার আগে স্ট্রেস রাখুন নিয়ন্ত্রণে।

এই ধরনের সময়ে, মানুষ মানসিক চাপ উপশম করার জন্য অনেক ব্যবস্থা নেয়। আপনিও যদি মানসিক চাপে ভুগছেন তাহলে স্ট্রেস বল ব্যবহার করা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রেস বল ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে।

এভাবেই স্ট্রেস বল কাজ করে

মানসিক চাপ আমাদের শরীরকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। তাদের মধ্যে একটি হল হরমোন কর্টিসলের নিঃসরণ, যা আমাদের রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করে যাতে তারা পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না।

তাই যখন আপনি স্ট্রেস বলটি চেপে এবং ছেড়ে দেন, তখন এটি এখানে পেশীতে চাপ দেয়, যা অক্সিজেনের সাথে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায়। এটি পেশী শিথিল করে।

পুনরুদ্ধারের জন্য দরকারী

কারণ স্ট্রেস বল হাতকে একটি ভাল ওয়ার্কআউট দেয়, এটি হাতের আঘাত নিরাময়েও সহায়তা করে। সেই সঙ্গে হাতের নমনীয়তাও বাড়ে।

বসার সময় পেশী শক্তিশালী করুন

স্ট্রেস বল শুধুমাত্র কব্জি এবং হাতের চারপাশের পেশীগুলির ব্যায়াম করে না, এই পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতেও কাজ করে। কারণ শরীরের স্নায়ুগুলো পরস্পর যুক্ত। এই ধরনের অবস্থানে এটি সমগ্র শরীরের স্নায়ুকে সক্রিয় করে, যার ফলে উপবিষ্ট শরীরের ব্যায়াম করা হয়।

আকুপ্রেসার কাজ করে

আপনার হাতের তালু দিয়ে একটি প্রসারিত বল চেপে ধরলে তা আকুপ্রেশারের মতো কাজ করে। সেক্ষেত্রে একটি অংশের স্নায়ুর উপর চাপ দিয়ে শরীরের বাকি অংশকে গভীরভাবে শিথিল করতে এই প্রক্রিয়া সাহায্য করে।