সংক্ষিপ্ত
বাতের ব্যথায় যারা ভুগছেন তারাও নিয়মিত তামার পাত্রে জল খান। তামা আর্থ্রাইটিস কমাতে সাহায্য করে। এর অ্য়ান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গাটের ব্য়থা কমাতে সাহায্য করে।
তামার পাত্রে জল রাখা কিংবা জল খাওয়া প্রাচীন যুগ থেকেই চলে আসছে। কিন্তু তামার পাত্রে জল খাওয়ার প্রচলন এখন আর নেই। কারণ প্লাস্টিকের রকমারি বোতলের ব্যবহার এবং চোখধাঁধানো ডিজাইনার বোতলেই সকলেই জল খান। কিন্তু প্লাস্টিকের বোতল জল খাওয়া কতটা মারাত্মক তা সকলেই জানেন। এবং হাল ফ্যাশনে ফের তামার বোতলের চল শুরু হয়েছে। শরীরের কথা মাথায় রেখেই অনেকেই জল খাচ্ছেন তামার বোতল কিংবা গ্লাসে।
প্লাস্টিকের রকমারি বোতলের ব্যবহারে তামার পাত্রে জল খাওয়ার অভ্য়েস প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের পুরোনো অভ্যেসও ফিরে আসছে। হাল ফ্যাশনে ফের তামার বোতলের চল শুরু হয়েছে। শরীরের কথা মাথায় রেখেই অনেকেই জল খাচ্ছেন তামার বোতল কিংবা গ্লাসে। তামায় অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। তামার পাত্রে জল রাখলে আয়রনও সঞ্চার করে। পাশাপাশি তামার মধ্যে থাকা অন্যান্য উপাদানও শরীরের জন্য ভাল। তামার পাত্রে নিয়মিত জল খেলে অ্যানিমিয়া কমে যায়। এর প্রধান কারণই হল তামা জলে আয়রন সঞ্চার করে, ফলে রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়তে পারে। তাই তামার পাত্রে জল খেলে অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমতে পারে।
বাতের ব্যথা গাঁটের ব্যথার সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভুগে থাকেন। হাড়ের দুর্বল অংশে অতিরিক্ত চাপ পড়লেই ব্যথা দ্বিগুণ বাড়ে। বাতের ব্যথায় যারা ভুগছেন তারাও নিয়মিত তামার পাত্রে জল খান। তামা আর্থ্রাইটিস কমাতে সাহায্য করে। এর অ্য়ান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গাটের ব্য়থা কমাতে সাহায্য করে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত হরমোন নিঃসরণ আটকায় তামা। শরীরে সঠিক মাত্রায় তামা থাকলে ভারসাম্য বজায় থাকে। শরীরে তামার পরিমাণ কম থাকলে তা রক্তচাপে তারতম্য ঘটায়। এবং যার ফলেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। তামা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। সুতরাং হাইপারটেনশন রোধ করতে এর অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শরীরে তামার পরিমাণ ঠিক রাখতে তামার পাত্রে নিয়মিত জল খান। হার্টকে সুরক্ষিত ও ভাল রাখতে তামার বোতলে জল খান। রক্ত চলাচল সচল রাখতে তামা সাহায্য করে। রক্ত চলাচল ঠিক থাকলে হার্টে কোনও সমস্যা হয় না। তামায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা নতুন কোষ গঠন করতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না এবং ত্বক ভাল থাকে।