পরিবারের জন্য আপনার রান্নার পদ্ধতি স্বাস্থ্যকর তো? এই ছোট ভুলগুলো ভুলেও করবেন না
আপনি যতই ভালো সবজি রান্না করুন না কেন, রান্নার পদ্ধতি সঠিক না হলে সেই সবজির পুষ্টিগুণ আপনার শরীরে পৌঁছাবে না। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন পদ্ধতিতে রান্না করা উচিত নয়...
- FB
- TW
- Linkdin
সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমরা যাই করি না কেন, পেটের ক্ষুধাটা কিন্তু সময় মতো কড়া নাড়িয়ে ওঠে। এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষেরই ক্ষুধা থাকে। সেই ক্ষুধা মেটানোর জন্য প্রত্যেকেই নিজের পছন্দ অনুযায়ী খাবার খেয়ে থাকেন।
খাবার ছাড়া আমরা বেঁচে থাকতে পারব না, এটাও একটা তিতো কথা। তবে, আমরা যদি খেতে চাই, তাহলে কেউ না কেউ তো রান্না করবে, তাই না? রান্না করা মানে যে যা ইচ্ছা তাই দিয়ে রান্না করে ফেলা নয়। তার একটা পদ্ধতি আছে। একটা শিল্পের মতো করে রান্না করতে হয়। যে কোনও রান্নারই একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকে। কোনটা কীভাবে রান্না করতে হবে, সেভাবে রান্না করলেই তার স্বাদ আসে। খেতেও ভালো লাগে।
তবে... আজকাল রান্নার পদ্ধতি অনেক সহজ হয়ে গেছে। আমাদের সুবিধা অনুযায়ী সব পদ্ধতিই বদলে গেছে। কিন্তু... এভাবে বদলে কিছু পদ্ধতিতে রান্না করার ফলে আমরা নিজেরাই নিজেদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে নিচ্ছি। আপনি যতই ভালো সবজি রান্না করুন না কেন, রান্নার পদ্ধতি সঠিক না হলে সেই সবজির পুষ্টিগুণ আপনার শরীরে পৌঁছাবে না। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন পদ্ধতিতে রান্না করা উচিত নয়...
অস্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতিগুলি হল...
অস্বাস্থ্যকর রান্না বলতেই অনেকের মনে প্রথমেই আসে ডিপ ফ্রাই। ডিপ ফ্রাই করা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, এতে ফ্যাট বেশি থাকে, আমরা তাই-ই ভাবি। কিন্তু... তার চেয়েও কিছু অস্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতি আছে। আমরা সেগুলোকে স্বাস্থ্যকর ভেবে ভুল করে খেয়ে ফেলি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী....
১. এয়ার ফ্রায়ার...
আজকাল অনেকেই তেল ছাড়া রান্না করার জন্য এবং এটি স্বাস্থ্যকর ভেবে এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করছেন। এতে তেল না থাকায় এটি স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন অনেকে। তবে প্রচলিত ডিপ ফ্রাইংয়ের মতো না হলেও, এয়ার ফ্রায়ার খাবার রান্না করার জন্য গরম বাতাস ব্যবহার করে, যা কম তেলে একই রকমের টেক্সচার দেয়। যাইহোক, কিছু তেল ব্যবহার করার ফলে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
২. গ্রিল...
খাবার রান্নার জন্য গ্রিল ব্যবহারও আজকাল বেড়ে গেছে। গ্রিল্ড চিকেন, গ্রিল্ড পনির, গ্রিল্ড ফিশ আমাদের প্রিয় কিছু খাবার। কিন্তু খোলা আগুনে, উচ্চ তাপমাত্রায় গ্রিল করার ফলে হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইন (HCA) এবং পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (PAH) নামক ক্ষতিকারক যৌগ তৈরি হয়। এই যৌগগুলি কিছু মারাত্মক রোগের সাথে সম্পর্কিত।
৩. নন-স্টিক প্যান...
নন-স্টিক প্যানগুলি বিশ্বজুড়ে রান্নাঘরে জায়গা করে নিয়েছে। এগুলি ব্যবহার করা সহজ। কম তেলে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা যায় বলে মনে করা হয়। কিন্তু নন-স্টিক প্যানগুলিতে প্রায়শই টেফলন নামে পরিচিত পলিটেট্রাফ্লুরোইথিলিন (PTFE) আবরণ থাকে। এই প্যানগুলিকে বেশি গরম করা বা ধাতব পাত্র ব্যবহার করার ফলে বিষাক্ত ধোঁয়া এবং কণা বের হতে পারে।
৪. মাইক্রোওয়েভ...
মাইক্রোওয়েভে রান্না করাও আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করা, নির্দিষ্ট কিছু পাত্র ব্যবহার করা ইত্যাদি করা হয়। কিন্তু... এতে রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। যা খাবারকে দূষিত করে। এর ফলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হয়। তাই... মাইক্রোওয়েভে রান্না করা খাবার খাওয়াও স্বাস্থ্যকর নয়।