সংক্ষিপ্ত
রসুনের খোসাও চুলের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। খুশকির সমস্যা থাকলে রসুনের খোসার জল বা পেস্ট চুলে লাগান, খুশকি ও উকুন দূর হবে।
প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি কি জানেন যে শাকসবজির স্বাস্থ্য উপকারিতার পাশাপাশি এর খোসার মধ্যেও গুণাগুণ পাওয়া যায়। এই কারণে মানুষ নানাভাবে মুলা, করলা ও সবুজ ডালের খোসা ব্যবহার করে সুস্থ থাকার চেষ্টা করে। কোথাও এগুলি পরোটা বানানো হয়, আবার কেউ কেউ খোসার চাটনিও খায়।
রসুন আমাদের রান্নাঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এটি ছাড়া অনেক খাবারের স্বাদ তৈরি হয় না। আমরা ব্যবহারের জন্য রসুনের খোসা ছাড়ি, কিন্তু এটিকে অকেজো মনে করে ডাস্টবিনে ফেলে দিই, কিন্তু এই খোসার উপকারিতা জানা থাকলে তা কখনোই করবেন না। রসুনে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে। এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক উপায়ে উপকারী হতে পারে যা সম্পর্কে আপনার জানা দরকার। আসুন দেখি কিভাবে এটি ব্যবহার করা যায়।
রসুনের খোসার উপকারিতা
রসুনের খোসা অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরপুর। বাকল শাকসবজিতে যোগ করে স্যুপে রান্না করে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়।
রসুনের লবঙ্গে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এটিকে আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী করে তোলে, এইভাবে এটি চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এর জন্য আক্রান্ত স্থানে রসুন ও এর খোসার জল লাগাতে হবে। এটি ব্রণ থেকেও মুক্তি দেয়।
রসুনের খোসাও চুলের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। খুশকির সমস্যা থাকলে রসুনের খোসার জল বা পেস্ট চুলে লাগান, খুশকি ও উকুন দূর হবে। আপনি চাইলে রসুনের খোসার জল সিদ্ধ করে চুলে লাগাতে পারেন। হাঁপানির সমস্যা থাকলে প্রথমে রসুনের খোসা ভালো করে পিষে তারপর মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা সেবন করুন। রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। পায়ের ফোলাভাবও কমায় রসুনের খোসা। এজন্য জলেতে রসুনের খোসা সিদ্ধ করে তাতে পা ভিজিয়ে রাখুন। এটি দ্রুত স্বস্তি দেবে।
এছাড়াও রসুনের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে, যা ত্বকের যত্নে খুবই সহায়ক। এছাড়া পেঁয়াজে ছত্রাকবিরোধী উপাদানও পাওয়া যায়। যাদের একজিমার মতো সমস্যা আছে, তারা রসুন ও পেঁয়াজের খোসা দিয়ে তা দূর করতে পারেন। চুলকানি এবং ব্যথা সব সময় এই ধরনের ত্বকের সমস্যার কারণে হয় এবং এর কারণে জ্বালাও হতে পারে। একটি পাত্রে জল নিয়ে রসুন ও পেঁয়াজের খোসা গরম করে জলে মিশিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করতে হবে।