সংক্ষিপ্ত

অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ এবং ব্রণর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিনি খাওয়ার অভ্যাস কমাতে মধু বা গুড় ব্যবহার করুন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারযুক্ত খাবার খান।

স্বাস্থ্য টিপস: ভারতে এমন হাজারো মানুষ আছেন যাদের সকাল শুরু হয় চিনিযুক্ত চা দিয়ে আর রাত শেষ হয় রাবড়ি-জেলেবি খেয়ে। চিনির প্রতি আসক্তি দিন দিন বেড়েই যায়। চিনি তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় কিন্তু এর উচ্চ ক্যালরি শরীরের ক্ষতি করে। যদি আপনারও প্রতি কয়েক ঘন্টায় মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে এই অভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আপনি এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং সুস্থ থাকতে পারেন, সেইসাথে আপনি কি অতিরিক্ত চিনি খাচ্ছেন তাও বুঝতে পারবেন।

কম খাওয়ার পরেও ওজন বৃদ্ধি

আপনি যদি কম খাবার খান, তবুও আপনার ওজন যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তাহলে এর পেছনে ক্যালরিই দায়ী। চিনি সুস্বাদু হলেও এর ক্যালরি দুই বেলার খাবারের সমান। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ক্ষুধা বাড়ায়। এটি ইনসুলিন সিস্টেমকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে পেটে চর্বি জমে এবং ওজন বাড়তে শুরু করে।

উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ হল আপনি অতিরিক্ত চিনি খাচ্ছেন। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চিনি খাওয়া ঠিক ততটাই বিপজ্জনক। গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে লবণের চেয়ে চিনির উপর নিয়ন্ত্রণ বেশি জরুরি।

মুখে ব্রণ

বেশি মিষ্টি খেলে মুখে ব্রণ হয়। অতিরিক্ত চিনি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে ত্বকে ফোলাভাব দেখা দেয় এবং সিবাম নামক তৈলাক্ত পদার্থের নিঃসরণ বেড়ে যায়। যার ফলে মুখে ব্রণ হয়।

চিনি খাওয়ার অভ্যাস কীভাবে কমাবেন

১- চিনি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়া একটু কঠিন কিন্তু আপনি পারবেন। মিষ্টি খাওয়ার পরিবর্তে মধু বা গুড় খান। এতে আপনার স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

২- আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের মতো জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে আপনার ক্ষুধা কমবে এবং আপনি অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে পারবেন এবং আপনার চিনি খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যাবে।

৩- আমরা প্রায়ই তৃষ্ণা এবং ক্ষুধার মধ্যে পার্থক্য করতে পারি না। যদি আপনার অসময়ে তৃষ্ণা পায়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে আপনার ক্ষুধার অনুভূতি দূর হবে।

৪- যদি আপনি ওজন কমাতে চান, তাহলে আপনি কত ক্যালরি গ্রহণ করছেন সেদিকে মনোযোগ দিন। সেইসাথে, যদি আপনার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে একটি খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করুন যাতে অতিরিক্ত ক্যালরি এড়ানো যায়।

৫- অনেকে ওজন কমানোর জন্য খাওয়া বন্ধ করে দেন কিন্তু এটি অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। এক্ষেত্রে দিনে একবার খাওয়া উচিত। এতে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমে।

আরও পড়ুন-

ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগ ফেলে দেবেন না, তৈরি করুন এই ৪টি ফেস প্যাক, উজ্জ্বল হবে ত্বক

শীতেও আইসক্রিমের মতো ঘরে তৈরি করুন দই, পড়ুন মাস্টারশেফের বিশেষ টিপস