কোন উপাদানের ঘাটতি আছে শরীরে? জানান দেবে এই লক্ষ্মণগুলো! অবহেলা করবেন না
- FB
- TW
- Linkdin
আমাদের শরীর সুস্থ আছে কিনা তা শরীরে দেখা যাওয়া কিছু লক্ষণ দেখেই বোঝা যায়। কিন্তু এই লক্ষণগুলো আমরা যদি অবহেলা করি তাহলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা এবং স্বাস্থ্যগত জটিলতা তৈরি হতে পারে।
আপনার শরীর তার চাহিদা সম্পর্কে কী বলছে তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং সেই চাহিদা পূরণে খাবারকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে পুষ্টির অভাব থাকলে শরীর কীভাবে আমাদের তা জানান দেয় এবং খাবারের মাধ্যমে কীভাবে এই সমস্যাগুলি সমাধান করা যায় তা নিয়েই এই প্রতিবেদন।
ভিটামিন বি ১২ এর অভাব
আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির মধ্যে অন্যতম হল ভিটামিন বি ১২। আমাদের শরীরে যদি এর ঘাটতি থাকে তবে শরীর কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে। যেমন, ভিটামিন বি ১২ এর অভাবের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মেজাজ পরিবর্তন এবং স্মৃতি সমস্যা।
এই ঘাটতি পূরণ করতে, কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত?
ডিম: এতে ভিটামিন বি ১২ সহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
পালং শাক: B12 বেশি থাকার পাশাপাশি, পালং শাক অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানেরও একটি ভালো উৎস।
পনির: বেশি ভিটামিন বি১২ পেতে একটি দুর্দান্ত উপায়।
দুধ: এই অপরিহার্য ভিটামিনের নিয়মিত উৎস হল দুধ।
আয়রনের অভাব
আয়রনের অভাবের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে রক্তাল্পতা, ক্লান্তি, ফ্যাকাশে ত্বক এবং শ্বাসকষ্ট।
এই ঘাটতি পূরণ করতে, কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত?
পাতাযুক্ত সবজি: বেশি আয়রন থাকে বাঁধাকপি এবং পালং শাকে।
কাঁচা বাদাম এবং কালো কিশমিশ: আয়রনের অভাব দূর করতে সাহায্য করবে
ডাল: ডালে প্রোটিনের পাশাপাশি আয়রনও বেশি পরিমাণে থাকে।
জিংকের অভাব
জিংকের অভাবের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, চুল পড়া, দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ক্ষত নিরাময় ধীর গতিতে হওয়া।
খাবার:
ওটস: যথেষ্ট পরিমাণে জিংক রয়েছে এতে।
কুমড়ো বীজ: এগুলি জিংকের দুর্দান্ত উৎস এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার।
ছোলা: নিয়মিত আপনার খাদ্যতালিকায় ছোলা রাখা ভালো।
কাঁচা বাদাম: উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জিংক থাকে কাঁচা বাদামে, খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।
পটাশিয়ামের অভাব
পটাশিয়ামের অভাবের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেশী টান, দুর্বল পেশী এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন।
এই ঘাটতি পূরণ করতে, কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত?
কলা: পটাশিয়াম পেতে একটি জনপ্রিয় এবং সহজ উপায়।
আভাকাডো: এতে ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও অতিরিক্ত পটাশিয়াম রয়েছে।
মিষ্টি আলু: সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর এই আলু পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ানোর জন্য দুর্দান্ত খাবার।
পালং শাক: পালং শাকে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও পটাশিয়ামও রয়েছে।
বিটরুট: সালাদ এবং ফলের রসে অতিরিক্ত পটাশিয়াম যোগ করার জন্য একটি দুর্দান্ত উপায়।
ম্যাগনেসিয়ামের অভাব
শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব থাকলে ক্লান্তি, মানসিক সমস্যা, অস্টিওপোরোসিস এবং পেশীতে টান ধরার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
খাবার
পালং শাক: অনেক পুষ্টি উপাদান এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ একটি সবজি।
কাঁচা বাদাম: আপনার ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা বাড়ানোর জন্য একটি সুস্বাদু জলখাবার হল কাঁচা বাদাম।
আভাকাডো: পুষ্টি এবং বহুমুখী ব্যবহারের জন্য পরিচিত আভাকাডো ম্যাগনেসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস।
কুমড়ো বীজ: জলখাবার হিসেবে অথবা খাবার এবং সালাদে একটি উপাদান হিসেবে দুর্দান্ত।
অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেনের মাত্রা
ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেশি থাকলে তা বিভিন্ন সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে। ওজন বৃদ্ধি, মেজাজ পরিবর্তন, অতিরিক্ত মাসিক এবং ক্লান্তি এর লক্ষণ।
খাবার:
শাকসবজি: ব্রকলি, ফুলকপি এবং ব্রাসেলস স্প্রাউট অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন দূর করতে সাহায্য করে।
গাজর: উচ্চ ফাইবারের জন্য পরিচিত গাজর, শরীর থেকে ইস্ট্রোজেন বের করে দিতে সাহায্য করে।