সংক্ষিপ্ত
- সূর্যগ্রহণ কি কোনও ভাবে করোনা ভাইরাস নির্মূল করতে সক্ষম
- সূর্যগ্রহণের শক্তিশালী প্রভাব করোনার ভাইরাস নির্মূল করতে সক্ষম
- গুগলে সর্বাধিক অনুসন্ধানও চলছে এই বিষয়ে
- জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে বিজ্ঞান কি বলছে
২১ জুনের অর্থাৎ আজকের এই সূর্যগ্রণ হল এ্যানুলার সূর্যগ্রহণ। ভারত ছাড়াও আরও অনেক দেশ এই মহাজাগতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনার সাক্ষী থাকবে। এই সূর্যগ্রহণকে 'রিং অফ ফায়ার'ও বলা হয়েছে। তবে এই সমস্তগুলির মধ্যে ভারতীয়দের মনে কেবল একটি প্রশ্ন রয়েছে - এই সূর্যগ্রহণ কি কোনও ভাবে করোনা ভাইরাস নির্মূল করতে সক্ষম হবে? এমনকী সূর্যগ্রহণের শক্তিশালী প্রভাব করোনার ভাইরাস নির্মূল করতে সক্ষম কিনা তা গুগলে সর্বাধিক অনুসন্ধানও চলছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে বিজ্ঞান কি বলছে
কখন সূর্যগ্রহণ হয়?
সূর্যগ্রহণ তখনই হয় যখন চাঁদ সূর্য এবং পৃথিবীর এক রেখায় চলে আসে। এই সময়কালে, চাঁদ পৃথিবীতে সূর্যের আলো আসতে বাধা দেয় এবং চাঁদের ছায়া পৃথিবীতে যে অংশে পড়ে তাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। এবারে প্রশ্ন হল কেন সূর্যগ্রহণ করোনার ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত হচ্ছে?
চেন্নাইয়ের এক বিজ্ঞানীর মতে, করোন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও সূর্যগ্রহণের মধ্যে একটি সংযোগ রয়েছে। পারমাণবিক ও পৃথিবী বিজ্ঞানী ডাঃ কেএল সুন্দর কৃষ্ণ এএনআইকে জানিয়েছেন, যে বিচ্ছেদ শক্তি সূর্যগ্রহণের পরে নির্গত হয় তা পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার ফলেই এই মহামারির সূত্রপাত। তিনি বলেছিলেন যে "সৌরজগতের জৈব পারমাণবিক মিথস্ক্রিয়াই হল করোনা ভাইরাসের একটি অংশ।
কেএল সুন্দর কৃষ্ণ করোনার ভাইরাসটির উদ্ভবের সম্ভাব্য তত্ত্ব উপস্থাপন করে আরও বলেছেন, যে করোনা বায়ুমণ্ডল থেকে এসেছে, যেখানে 'আন্তঃ-গ্রহীয় বলের প্রকরণ' দেখা দিয়েছে। নিউট্রনগুলি উচ্চ বায়ুমণ্ডলে জৈব পারমাণবিক যোগাযোগের ফলে এই মহামারি শুরু করে। তাঁর মতে, এই জৈব পারমাণবিক যোগ করোন ভাইরাসের অংশ হতে পারে।
তবে টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ১৯৮6 সালে যে বিজ্ঞানীরা সূর্য রশ্মির পরীক্ষার সময়, 'করোনাভাইরাস' শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন, তারা জানিয়েছেন সূর্যের ভাইরাসটি হুবহু দেখতে পৃথিবীর করোনা ভাইরাসের মত। 'করোনা' কথার আক্ষরিক অর্থ হল ক্রাউন বা মুকুট। আর সূর্যের ক্রাউন সূর্যের বায়ুমণ্ডলের বাইরের অংশে থাকে। যা সাধারণত সূর্যের পৃষ্ঠের আলোয় লুকানো থাকে। বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার না করে খালি চোখে দেখা যায় না। গ্রহণের সময় সূর্যের রশ্মি কমে যাওয়ার কারণে গ্রহণের সময় সৌর করোনা দেখা যায়।
আর এই সৌর করোনার পৃথিবীর করোনার ভাইরাস কে প্রভাবিত করার একমাত্র উপায় হল সূর্যের পৃথিবীর সংস্পর্শে আসা। এটি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, কারণ সূর্য ১৫২.০২ মিলিয়ন কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে অবস্থিত। এখনও অবধি করোনাভাইরাস ধ্বংস একমাত্র বৈজ্ঞানিক উপায় হল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে ২০ সেকেন্ডের জন্য আপনার হাত সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা, রোগের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে পারে এমন জীবাণুনাশক সারফেসগুলি এর বাহক হতে পারে। মাস্ক পরা এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি যত্ন নেওয়ার ফলে আপনার সুরক্ষিত থাকতে পারেন, পাশাপাশি সংক্রমণ রোধ করার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি। তাই সূর্যগ্রহণ করোনার ভাইরাস সৃষ্টি করতে পারে না, বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।