সংক্ষিপ্ত
- ২১ জুন অর্থাৎ আগামীকাল ফাদার্স ডে
- একদিনের জন্য বাবার বাজারের দায়িত্বটা আপনি নিজে নিয়ে নিন
- বাবা যদি গান শুনতে ভালবাসে তাহলে অনলাইনে একটি রেডিও অর্ডার দিতে পারেন
- জমে থাকা গোপন কথা লিখে কার্ডটি বাবার খবরের কাগজের মধ্যে রেখে দিন
পৃথিবীতে ভালোর কোনও শেষ নেই। আর ভালো-র মধ্যে সবথেকে ভালোটা যিনি নিয়ে আসেন তিনি হলেন বাবা। যেমন ধরুন মাছ কিন্তে গেলে আপনার পছন্দের সেরা মাছ, জামাকাপড় কিনতে গেলেও আপনার পছন্দের রং, ভাল খাবার কিনতে গেলে আপনার প্রিয় খাবার। এই সব কিছু মাথায় রেখেই যেন তাকে চলতে হয় সর্বদা। কারণ তিনি বাবা। ৩৬৫ দিন যিনি প্রকাশ্যে না এসেও বটগাছের মতো আমাদেরকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। তিনিই হল বাবা। আগামীকাল ফাদার্স ডে। ভীষণ দামী একটি দিন। আর এই দিনটা শুধু বাবাদের জন্য।
আরও পড়ুন-'বিরল সূর্যগ্রহণ', বাংলার কোথায়-কখন দেখা যাবে এই 'রিং অফ ফায়ার'...
মা হোক কিংবা বাবা এরা এমনই একটা জিনিস যার সঙ্গে পৃথিবীর কোনও দামী বস্তুর তুলনা হয় না। প্রতিটি মানুষের জীবনেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বাবা। মায়ের জন্য যেমন কোনও বিশেষ দিনের দরকার হয় না তেমনি বাবার জন্যও না। কারণ গোটা জীবনটাই তাদের জন্য বরাদ্দ। প্রতিটা দিনই তাদের। তবে একটা তো স্পেশ্যাল দিন থাকা দরকার। সেই দিনটি হল ২১ জুন অর্থাৎ রবিবার। বিশ্ব পিতৃ দিবস। যেই দিনটাতে মন খুলে তাকে মনের সমস্ত গোপন কথা বলা যায়। আর হাতে আর বেশি সময় নেই, তার উপর আবাব লকডাউন। সুতরাং চটজলদি সময়ের মধ্যে বাবাকে না বলে থাকা কথা বলে ফেলার এটাই মোক্ষম সময়। বাবার জন্য সম্মান, ভালবাসা, শ্রদ্ধা জানাতেই এই বিশেষ দিনের আয়োজন। তাই বিশেষ দিনে বাবার প্রতি ভালবাসা জানাতে কিছু হটকে তো করতেই হবে।যাতে দিনটি আরও বেশি স্পেশ্যাল হয়ে থাকে বাবার কাছে। রইল কিছু সারপ্রাইজ টিপস।
লকডাউনের মধ্যে বিশাল কিছু করা সম্ভব নয়। আর সবসময় দামী জিনিসই যে দিতে হবে তেমনও কোনও মানে নেই। তাই বিশেষ কোনও ঝক্কিতে না গিয়ে খুব সাধারণ ভাবেই ঘরোয়া উপহার দিয়েই বাবার মন জিতে নিন।
প্রতিদিন সকালে উঠে দেখি বাবা বাজার যায়, আজকের দিনটা উল্টে দিলে কেমন হয়, বরং বাবাকে ছুটি দিয়ে ওই একদিন বাবার দায়িত্বটা আপনি নিজে নিয়ে নিন।
বাবা প্রতিদিন আপনার পছন্দে যেমন জিনিস নিয়ে আসে। ওই একদিন বাবার পছন্দমতো সবটা আপনি নিয়ে আসুন।
আজেকের দিনটি যেহেতু বাবার দিন। বাবার পছন্দের রান্নাগুলি মা আর আপনি মিলে চটপটে নিজের হাতে সের নিন। ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার পুরোটাই থাক বাবার পছন্দের মেনু।
বাইরে বেরানোর পরিকল্পনা না করাই ভাল এই সময়টাতে। যতটা সম্ভব ঘরে থাকার চেষ্টা করুন। বাড়িতেই পরিবারের সকলে মিলে এই দিনটা সেলিব্রেট করুন।
বাড়ির ব্যালকনিতে সকালে টি-পার্টি দিয়ে শুরু করে সন্ধ্যে বেলা ছোট একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন। তবে বাইরের কাউকে এই সময়টাতে না ডেকে পরিবারের সকলে মিলেই করার চেষ্টা করুন।
ছোট থেকে বড় সকলেই চকোলেট ভালবাসে। তাই বিশেষ দিনটিতে বাবারপ্রিয় চকোলেট উপহার দিতে পারেন। এতে মায়ের মনও আনন্দে ভরে যাবে।
হ্যান্ডমেড গ্রিটিংস কার্ড বানিয়ে তাতে জমে থাকা মনের কথা চট করে লিখে ফেলুন। যা এতদিন ধরে বাবাকে বলতে পারছিলেন না। বাবার খবরের কাগজের মধ্যে সকাল বেলায় কার্ডটি রেখে দিন। যাতে সকালে উঠেই বাবা কাগজটি খুলেই এই গিফটা দেখে খুশি হয়ে যায়।
বাবার যদি গান শুনতে ভাল লাগে তাহলে অনলাইনে একটি রেডিও অর্ডার দিতে পারেন, যদি বাড়িতে না থাকে। লকডাউনে এর থেকে ভাল উপহার আর কি-ই বা হতে পারে।
বাবার সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি দিয়ে ফোটো কোলাজ বানিয়ে ড্রয়িং রুমে রাতে টাঙিয়ে দিন। ঘুম থেকে উঠে বাবা দেখলে খুশি হয়ে যাবে।
এত আয়োজনের মধ্যে সেলফিটা আর তোলা হল না। এটা জানো না হয়। সবার আগে কাজের ফাঁকে ফাঁকে সেলফিটা কিন্তু মাস্ট। সবশেষে একটা করে ক্যাপশন আর তা পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায়।