সংক্ষিপ্ত

আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তজার্তিক থিয়েটার দিবস (World Theater Day)। ১৯৬১ সাল থেকে পালিত হচ্ছে বিশ্ব থিয়েটার দিবস। জিন কক্টো প্রথম থিয়েটার দিবস পালনের বার্তা দিয়েছিলেন। তারপর থেকে ২৭ মার্চ দিনটি আন্তজার্তিক থিয়েটার দিবস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। প্যারিসে ১৯৬২ সালে থিয়েটার অফ নেশনস দিনটির উদ্বোধন হয়েছিল। 

স্টেজের একাংশ অন্ধকারাচ্ছন্ন। পিছনে ঝুলছে কালো পর্দা। মঞ্চ তেমন সজ্জিত নয়। ওপর থেকে ঝুলছে মাইক। কোথাওবার মঞ্চের একধারে রাখা মাইক। স্টেজে (Stage) মাত্র দুজন অভিনেতা। অভিনেতাদের ওপরে স্পট লাইট। এতেই মিলল সাফল্য। দর্শকাসনে বসে শয় শয় মানুষের করতালি বলে দিচ্ছে তাদের পরিতৃপ্তির কথা। যে কোনও থিয়েটারের চিত্রটা কিছুটা থাকে এমন। 
আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তজার্তিক থিয়েটার দিবস (World Theater Day)। ১৯৬১ সাল থেকে পালিত হচ্ছে বিশ্ব থিয়েটার দিবস। জিন কক্টো প্রথম থিয়েটার দিবস পালনের বার্তা দিয়েছিলেন। তারপর থেকে ২৭ মার্চ দিনটি আন্তজার্তিক থিয়েটার দিবস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। প্যারিসে ১৯৬২ সালে থিয়েটার অফ নেশনস দিনটির উদ্বোধন হয়েছিল। এবছর পালিত হচ্ছে ৬০ তম বিশ্ব থিয়েটার দিবস (World Theater Day)। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে শিল্পীরা পালন করছেন এই দিনটি। পালিত হচ্ছে নানান কর্মসূচি।   

থিয়েটার দিবসের লক্ষ্য
বিশ্ব জুড়ে সব ধরনের থিয়েটারকে উৎসাহিত করা হল এই দিনটির লক্ষ্য। 
থিয়েটারের সকল প্রকারের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এই দিনটির লক্ষ্য।
সকলের সঙ্গে থিয়েটারের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য পালিত হয় আন্তজার্তিক থিয়েটার দিবস।
নাট্য সম্প্রদায়ের জন্য প্রচার করা জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে আন্তজার্তিক থিয়েটার দিবস। 

প্রতিবছর আন্তজার্তিক থিয়েটার দিবসে একটি বার্তা দেওয়া হয়। বিশ্ব থিয়েটার দিবসে, আইটিআই থিয়েটার এবং শান্তি সংস্কৃতি থিমের ওপর ভিত্তি করে ৫০টিরও বেশি ভাষায় বিশ্বব্যাপী সকল ব্যক্তিকে বার্তা দেওয়া হয়। আন্তজার্তিক থিয়েটার দিবস দিনটি শিল্পের গুরুত্ব, বিনোদনের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান ও থিয়েটার মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন আনে তা তুলে ধরার জন্য স্মরণ করা হয় দিনটি। গত দু বছর বিশ্ব জুড়ে থিয়েটার শিল্পীদের জন্য ভালো কাটেনি। করোনা খারাপ প্রভাব পড়েছে থিয়েটার শিল্পে। লকডাউনের জন্য বহু দিন বন্ধ ছিল শো। সে সময় কঠিন লড়াইয়ে মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে শিল্পীদের। তা সত্ত্বেও তারা আশা ছাড়েননি। কাজ বন্ধ থাকায় সকলকেই আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। সকলে এক জোট হয়ে লড়েছেন কঠিন লড়াই। কারণটা শুধুই থিয়েটারের প্রতি ভালোবাসা। আজ শিল্পীদের সেই ভালোবাসার দিবস। নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি মানুষ নিজের মতো করে পাল করছেন দিনটি। থিয়েটার যাতে আরও মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই গ্রহণ করছেন একাধিক কর্মসূচি।