সংক্ষিপ্ত
দীপিকা মানসিক অবসাদের শিকার ছিলেন, এখবর তো মোটামুটি সবাই জানি। কিন্তু এই তালিকায় রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। সেই নামগুলো রীতিমত অবাক করবে।
মানসিক অবসাদ (Mental Depression) বেশিরভাগ স্টারের (Bollywood Star) জীবনেই কখনও না কখনও উঁকি মেরেছে। মানসিক অবসাদের কারণে কেউ আবার বেছে নিয়েছে জীবন যুদ্ধে (Life) হেরে যাওয়ার পথও, কঠিন এই লড়াইকে (Battle) জয় করে সকলের মনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। দীপিকা মানসিক অবসাদের শিকার ছিলেন, এখবর তো মোটামুটি সবাই জানি। কিন্তু এই তালিকায় রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। সেই নামগুলো রীতিমত অবাক করবে।
দীপিকা পাডুকোন
একাধিক প্রেম এসেছে বলি অভিনেত্রী দীপিকার জীবনে। ছোট বয়স থেকেই ডেটিং,লিভ-ইন কী না করছেন দীপিকা। এমনকী একটা সময়ে মানসিক অবসাদেও ভুগতেন দীপিকা। দীপিকা জানান, ২০১৪ সালে সাংঘাতিক মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। এবং তা কাটিয়ে উঠতেই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরি করেন দীপিকা। তাদের পাশে সবসময়েই থাকার চেষ্টা করেন দীপিকা। নিজের মানসিক অবসাদ নিয়ে দীপিকা জানান, সেই সময়টাতে আমার কাজ করতে ভাল লাগতো না এমনকী কারোর সঙ্গে কথা বলতেও ভাল লাগত না। তখন বারবার মনে হয়েছিলস আমার আর বেঁচে থেকে লাভ নেই।
অনুষ্কা শর্মা
শুধুমাত্র একজন সফল অভিনেত্রীই নন, তিনি একজন সফল প্রযোজকও বটে। বিবাহিত জীবনেও সুখী অনুষ্কা শর্মা কিন্তু তার পরেও তাঁর নাম কেন এই লিস্টে, তাই ভাবছেন তো? সিনেমাতে তাঁকে আমরা সব সময়ই হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল চরিত্রে অভিনয় করতে দেখি, আবার কখনও-কখনও তিনি সিরিয়াস চরিত্রেও অভিনয় করেন। কিন্তু অনুষ্কা শর্মা মানসিক অবসাদ হতে পারে, এ যেন ধারণার বাইরে। কিন্তু অনুষ্কা নিজে বলেছেন 'আমি মাঝেসাঝেই অ্যাংজাইটিতে ভুগি এবং নিয়মিত ওষুধ খাই সেজন্য। কেন বলছি একথা? কারণ, এই সমস্যাটাও জ্বর বা সর্দি-কাশির মতোই স্বাভাবিক। আমাদের জীবনে এখন এত বেশি স্ট্রেস, তা থেকে অ্যাংজাইটি বা মানসিক অবসাদ আসতেই পারে, এতে লজ্জার কিছু নেই আর এটা নিয়ে এত ঢাকঢাক-গুড়গুড়ের মতোও কিছু করার নেই!”
করণ জোহর
করণ জোহরও যে এককালে depression-এর খপ্পরে পড়েছিলেন সে খবর কি আপনার জানা আছে? তিনি নিজে বলেছেন “একবার একটা মিটিং চলছিল, কিন্তু মাঝপথেই আমি মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হই। কারণ, আমার হঠাৎ করে শরীর খারাপ লাগছিল এবং মনে হচ্ছিল হার্ট এখনই কাজ করা থামিয়ে দেবে। আমি সঙ্গে-সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যাই সেখান থেকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছেও যাই। সেখানেই গিয়েই জানতে পারি যে, আমার অ্যাংজাইটির সমস্যা রয়েছে, সঙ্গে অবসাদও।”