সংক্ষিপ্ত
হিন্দুমতে কৌশিকী পূর্ণিমার রাতে সাধক কুলকুণ্ডলিনী চক্রকে জয় করতে পারে। এই রাতকে তারা রাত্রি বলে। বৌদ্ধ ও হিন্দু দুই সাধনাতেই বিশেষ মাহাত্ম্য আছে এই তিথির। বলা হয় তারারাত্রির এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধি লাভ করেন৷
ভাদ্র মাসের বিশেষ তিথিতে পড়ে কৌশিকী অমাবশ্যা। পুরাণ মতে এই দিনই কৌশিকী রূপেই শুম্ভ নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন আদ্যাশক্তি। কথিত রয়েছে যে কোনও কঠিন সাধনায় সিদ্ধিলাভের জন্য এই তিথি একেবারে উপযুক্ত।
হিন্দুমতে কৌশিকী পূর্ণিমার রাতে সাধক কুলকুণ্ডলিনী চক্রকে জয় করতে পারে। এই রাতকে তারা রাত্রি বলে। বৌদ্ধ ও হিন্দু দুই সাধনাতেই বিশেষ মাহাত্ম্য আছে এই তিথির। বলা হয় তারারাত্রির এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধি লাভ করেন৷
দেবী কৌশিকীর আবির্ভাব নিয়ে কথিত আছে দক্ষ যজ্ঞ স্থলে সতী রূপে আত্মাহুতি দেওয়ার পর পরবর্তী জন্মে পার্বতীর গায়ের রং কালো হয়। তাই মহাদেব তাকে কালিকা বলে ডাকতেন। একদিন দানবদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয় পীড়িত ক্লান্ত দেবতারা মহাদেবের কাছে আশ্রয় চাইলে মহাদেব সকল দেবতার সামনে পার্বতীকে বলেন 'কালিকা তুমি ওদের উদ্ধার করো।' সবার সামনে কালি বলে ডাকায় রাগে, দুঃখে অপমানিত ও ক্রোধিত মনে মানস সরোবরের ধারে কঠিন তপস্যা করেন। তপস্যা শেষে মানস সরোবরের জলে স্নান করে নিজের দেহের সবটুকু কালি ধুয়ে উজ্জ্বল গাত্র বর্ণ ধারণ করেন। ওই কালো কোশিকাগুলি থেকে এক অপূর্ব সুন্দর কৃষ্ণবর্ণ দেবীর সৃষ্টি হয়। ইনি দেবী কৌশিকী।
আরও পড়ুন - আপনার ঠাকুরঘরে মা কালীর ছবি রয়েছে? এতে কোনও পুজোই সম্পূর্ণ হচ্ছে না, জেনে নিন সঠিক নিয়ম
এই কৌশিকী অমাবস্যার দিনেই সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষেপা।
শ্রীশ্রীচণ্ডীতে বর্ণিত মহা সরস্বতী দেবীর কাহিনীতে বলা আছে, শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই অসুর কঠিন সাধনার দ্বারা ব্রহ্মাকে তুষ্ট করে চতুরানন বর লাভ করে। এর ফলে কোনও পুরুষ তাঁদের বধ করতে পারবেন না৷ শুধু কোনও অ-যোনি সম্ভূত নারী তাঁদের বধ করতে পারবেন। পৃথিবীতে মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নেয়নি এমন নারী নেই। অর্থাৎ এই দুই অসুরের অমরত্ব লাভ নিশ্চিত। পরে দেবী কৌশিকীর হাতে মৃত্যু হয় এই দুই অসুরের।
আরও পড়ুন - মনসা পুজা ২০২২, জেনে নিন বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী পুজার দিন-ক্ষণ