সংক্ষিপ্ত

  • তীব্র আলো, শব্দদূষণ থেকে দেখা দিতে পারে মাইগ্রেন
  • ডিপ্রেশন বা স্ট্রেস থেকে মাইগ্রেনের সমস্য়া দেখা দেয়
  • অন্ধকার ঘরে শান্ত হয়ে থাকলে যন্ত্রণা কিছুটা কমে
  • ফ্লুনারজিন আর অ্যামিট্রিপটিলিন দিয়ে এর চিকিৎসা চলে

মাইগ্রেনকে আগে চালু বাংলায় বলা হত আধকপালী কারণ, মাথার এই যন্ত্রণা সাধারণত পুরো মাথা জুড়ে হয় না কখনও শুধু বাঁদিকে, কখনও-বা ডানদিকে মানে, যে কোনও একপাশ জুড়ে শুরু হয় দপদপানি তীব্র থেকে অতি তীব্র  সেইসঙ্গে বমিভাব, চোখে দেখতে অসুবিধে, আলো ও শব্দ অসহ্য লাগা, খিদে কমে যাওয়া এমনকি চোখের যন্ত্রণার মতো উপসর্গও দেখা দেয়

এই মাইগ্রেন, অল্পবয়সি থেকে মধ্যবয়সি হয়ে বেশিবয়সি প্রত্যেককেই জীবনভর ভোগাতে পারে মাইগ্রেন সাধারণত, কিছুদিন অন্তর অন্তর ফিরে আসেতাই যাঁরা এই রোগ ভোগেন, তাঁরা এর পূর্বাভাস টের পান

মাইগ্রেনের কারণ কী?

এই রোগের কারণ হিসেবে অ্যালকোহল, চকোলেট, কোনও কিছুর উগ্র গন্ধ, তীব্র আলো, সময়মতো না-খাওয়া, অতিরিক্ত ঘুম বা অনিদ্রা, অত্যধিক চিন্তা বা মানসিক চাপ কাজ করে এছাড়া শারীরিক নানা সমস্যা, যেমন লিভারের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, হর্মোনের পরিবর্তনের কারণেও মাইগ্রেন দেখা দেয়

সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে মাইগ্রেন বেশি দেখা যায় আজকের ছুটন্ত জীবনে, যেখানে একটুও দম ফেলার ফুরসত নেই, সেখানে মানসিক চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাইগ্রেন দেখা যায় অতিরিক্ত শ্রম, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, ঘুম কম বা বেশি হওয়া, এই সবকিছু থেকেই মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়ে বলে মনে করেন ডাক্তাররা এর যন্ত্রণায় রোগী নির্জন অন্ধকারে একাকী কিছুটা বিশ্রাম নিলে আরাম পেতে পারে দীর্ঘক্ষণ শব্দদূষণের মধ্যে থাকলেও মাইগ্রেন দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন ডাক্তাররা রোগটিতে কেউ মারা না যান না ঠিকই, কিন্তু কাজকর্ম পণ্ড করে দেওযার পক্ষে যথেষ্ট এই মাইগ্রেন যাঁরা নিয়মিত মাইগ্রেনে ভোগেন, তাঁরাই একমাত্র বোঝেন এর যন্ত্রণা কীরকম

অ্যামিট্রিপটিলিন, ফ্লুনারিজাইন-এর মতো কিছু ওষুধ দিয়ে মাইগ্রেনের চিকিৎসা করা হয় তবে এক্ষেত্রে স্ট্রেস বা ডিপ্রেশন থাকলে, তার ওষুধও দেওয়া হয় মাইগ্রেন সারে না তবে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় অনেক সময়ে অ্যাংজাইটি থেকে হওয়া মাথার যন্ত্রণা, সাইনাস থেকে মাথার যন্ত্রণা আর মাইগ্রেন, সব একসঙ্গে মিলে যেতে পারে সেক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা দুর্বিসহ হয়ে ওঠে তাই এই সমস্যা থাকলে তা অবহেলা না-করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন