সংক্ষিপ্ত
রঙ ছাড়া হোলি খেলে সম্ভব নয়। এই রঙের প্রভাবে ত্বক ও চুলের দেখা দেয় নানা রকম সমস্যা। সাধারণত, রঙ (Colour) তৈরিতে নানা রকম কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার প্রভাব পড়ে ত্বক (Skin) ও চুলে (Colour)। জেনে নিন কীভাবে রঙের ক্ষতিকারণ উপাদান থেকে ত্বক ও চুলকে রক্ষা করবেন। টিপস দিলেন বিখ্যাত বিউটিশিয়ান শেহনাজ।
রাত পোহালেই দোল। ‘হোলি হ্যায়’ বলে সকলে মেতে উঠবে রঙের উৎসবে। আর হোলির উৎসব মানে রঙ-বেরঙের আবির। রঙ ছাড়া হোলি খেলে সম্ভব নয়। রঙ-বেরঙের আবির কিংবা রঙ দিয়েই শুরু হয় হোলির (Holi) আনন্দ। আর এই রঙের প্রভাবে ত্বক ও চুলের দেখা দেয় নানা রকম সমস্যা। সাধারণত, রঙ (Colour) তৈরিতে নানা রকম কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার প্রভাব পড়ে ত্বক (Skin) ও চুলে (Colour)। জেনে নিন কীভাবে রঙের ক্ষতিকারণ উপাদান থেকে ত্বক ও চুলকে রক্ষা করবেন। টিপস দিলেন বিখ্যাত বিউটিশিয়ান শেহনাজ।
হোলির আগে ত্বক ও চুলের যত্নে
রঙ খেলতে যাওয়ার আগে গায়ে তেল মাসাজ (Oil Massage) করুন। রঙ খেলার সময়, কানের ভিতরে, নখের খাঁজে রং ঢুকে যায়। যা তোলা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই রঙ খেলতে যাওয়ার আগে হাতে, পায়ে অবশ্যই তেল দিয়ে মাসাজ করুন। ত্বকের জন্য উপযুক্ত তেল ব্যবহার করবেন।
ত্বকের সঙ্গে চুলেও তেল লাগান। শুষ্ক ও ভেজা উভয় রঙই চুলের ক্ষতি করে। দোল খেলার পর অনেকেরই চুলের রঙ বদলে যায়। তাই রঙ খেলার আগে অবশ্যই চুলে তেল লাগান। জোজোবা কিংবা রোজমেরি তেল লাগাতে পারেন। কিংবা, ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল।
আপনার যদি লম্বা চুল হয়, তাহলে তা বেঁধে রাখুন। আর অবশ্যই টুপি (Cap) পরে দোল খেলতে যাবে। যাতের খুশকি আছে, তারা সতর্ক থাকুন। চুলের প্রোটেকশন না নিয়ে, ভুলেও রঙ খেলবেন না।
খোলা মাঠে কিংবা ছাদে মূলতে হোলির উৎসব (Holi Festival) পালিত হয়। দীর্ঘক্ষণ রোদে রঙ খেলতে গিয়ে সকলেরই ত্বকে ট্যান পড়ে। সে কারণে উচ্চ এসপিএফ যুক্ত ভালো সানস্ক্রিন লাগান। ঘাড়, পিঠ ও হাতে লাগাতে ভুলবেন না। রং খেলতে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে রঙ লাগান।
দীর্ঘক্ষণ রঙ খেলার জন্য ত্বক (Skin) রঙ শুকিয়ে যায়। তাই খেলার আগে ময়েশ্চরাইজার লাগাতে ভুলবেন না। ত্বকে ময়েশ্চরাইজার লাগালে রঙের ক্ষতিকারণে উপাদান সহজে ত্বকে প্রবেশ করতে পারে না।
রঙ খেলার পরে ত্বক ও চুলের যত্নে
প্রথমে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ক্লিনজার (Cleanser) দিয়ে চোখের চারধার, নাক, ঠোঁট ও কানের অংশ ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। ধীরে ধীরে মাসাজ করে সমস রঙ তুলে ফেলুন।
এবার ত্বকের মৃতকোষ দূর করুন। সে কারণে স্ক্রাবার (Scrubber) করতে হবে। তেল ও চিনি মিশিয়ে স্ক্রাবার বানান। ত্বকের উপযুক্ত তেলের সঙ্গে মিহি করা চিনি দিনে ভালো করে মেশান। তা ত্বকের লাগিয়ে মাসাজ করুন। এতে ত্বকের সমস্ত নোংরা দূর হবে।
রঙ তুলতে বরফ বেশ উপকারী। একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফের (Ice) টুকরো নিয়ে তা ত্বকে ঘষতে থাকুন। ত্বকের লাল ভাব দূর হবে। এরপর ত্বক হাইড্রেট করপুন। নারকেল তেল, বাদাম তেল কিংবা জলপাই তেল এই সময় ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্ন নিতে, সবার আগে জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে রঙ বেরিয়ে যাবে। তারপর হার্বাল শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনারটি লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন। দোলের উৎসবের পর এক সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন তেল (Oil) দিয়ে মাসাজ করবেন। এতে জ্যামেজ চুলের সমস্যা সমাধান হবে।
আরও পড়ুন- হোলির আগে হোলিকা দহন বা ন্যাড়াপোড়া করা হয়, জানুন এই বিশেষ দিনটির ইতিহাস
আরও পড়ুন- ভুলে যান টুথপেস্ট, এবার দাঁতে মুক্তোর চমক আনতে এসে গিয়েছে টুথপেস্ট ট্যাবলেট
আরও পড়ুন- চুল সুন্দর ও ভালো করতে হলে অবশ্যই মেনে চলুন এই শর্ত, জানুন ড্যামেজড হেয়ার ঠিক করার উপায়