সংক্ষিপ্ত
বিশ্বের প্রথম ভিডিও গেমটি ১৯৪০ সালে এসেছিল। এর নাম ছিল নিম। তারপর ভিডিও গেমের উন্নয়ন শিরু হয়। ১৯৫০ এর দশকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও এমনআইটি-র মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিডিও গেমস নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল।
সারাদিন পড়াশোনা, হোম ওয়ার্ক, টিউশন আর বিনোদন বলতে ভিডিও গেমস। বর্তমান প্রজন্মের জীবনটা অনেকটা এই রকম। এখনকার বাচ্চারা মাঠে খেলার বদলে বিভিন্ন ধরনের গেমসে বেশি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে। সারাদিন হাতে জয় স্টিক নিয়ে খেলে চলে। খেলতে খেলতে গেমসের দুনিয়ায় হারিয়ে যায় বাচ্চারা। আজ পালিত হচ্ছে তারে এই গেমসের দিন। আজ জাতীয় ভিডিও গেমস ডে।
বড় থেকে বাচ্চা সকলেই ভিডিও গেমস খেলতে পছন্দ করে। মোবাইল, কম্পিউটার কিংবা গেমিং কনসোল প্রায় সব বাড়িতেই মজুত থাকে। এই ভিডিও গেমসের জন্ম কিন্তু একটি ল্যাবে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে তৈরি হয় গেমস। জানা যায়, বিশ্বের প্রথম ভিডিও গেমটি ১৯৪০ সালে এসেছিল। এর নাম ছিল নিম। তারপর ভিডিও গেমের উন্নয়ন শিরু হয়। ১৯৫০ এর দশকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও এমনআইটি-র মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিডিও গেমস নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। এর মধ্য থেকে আবিস্কার হওয়া কিছু গেমস ছিল ভার্চুয়াল টিক ট্যাক টো এবং স্পেশওয়ার।
তারপর ১৯৬৭ সালে প্রথম গেমিং কনসোলটি ভিডিও গেমস তৈরি করেন। এটি ডিজাইন করেন ভিজিও গেমের জনক রাল্ফ বেয়ার। তারপর তা বাজারে আসে। এটি ক্লাসিক অ্যাটারি গেম ‘পং’-কে অনুপ্রাণিত করেছিল। যদিও কপিরাইট লঙ্ঘনের মামলা ছিল। সে যাই হোক, সেই থেকে গেমস নিয়ে শুরু হয় গবেষণা।
১৯৮৩ সালে ভিডিও গেমের বাজার বিপর্যয়ের পর জাপানি কোম্পানি নিন্টেডো দৃশ্যে বিস্ফোরিত হয়। বিভিন্ন গেমস বাজারে আসে। ধীরে ধীরে আসে থ্রি ডি গ্রেমস। তারপর ২১ শতকের প্রথম দিকে গেমিং-এর আধুনিক যুগের সূচনা হয়। বাজারে আসে Xbox 360, Playstation 3 এবং Wii র মতো গেমস। বর্তমানে ফোনের উপলব্ধ হচ্ছে বিভিন্ন গেমসের অ্যাপ। বিশ্বব্যাপীর গেম প্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণে লড়াই করে চলেছেন বিভিন্ন গেমসের কোম্পানি।
আদকের গেমগুলো লোকেদের সঙ্গে সামাজিকীকরণও অফার করেন। অনেক জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেয়ার ব্যাটেল রয়্যাল গেম রয়েছে। যেমন Fortnite, Minecraft, Pubg, কল অফ ডিউটি ইত্যাটি। এই গেমগুলো ব্যবহারকারী ও বন্ধুদের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ও একসঙ্গে ভিডিও গেম খেলা উপভোগ করতে দেয়।
আজকের পালিত নির্দিষ্ট করা হয়েছে গেমসের জন্য। আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় ভিডিও গেমস দিবস। গেমসের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য পালিত হয় দিনটি।
আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমে অব্যাহত সোনার দাম, রূপোর দর কোথায় ঠেকল, জেনে নিন কলকাতার দর
আরও পড়ুন- ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন আলুর ফেসপ্যাক, মিলবে উপকার, জেনে নিন কীভাবে বানাবেন