সংক্ষিপ্ত

রান্নাঘর টিপস: এই পোস্টে গৃহিণীদের রান্নাঘরে সাহায্য করার জন্য ১০ টি দরকারী টিপস দেওয়া হয়েছে। 

রান্নাঘরে গৃহিণীরা কিছু পরিবর্তন করলে কাজ সহজ হয়ে যায়। বাড়ির খরচও কমতে পারে। এই পোস্টে শুকিয়ে যাওয়া সবজিগুলিকে তাজা করার উপায় থেকে শুরু করে নানা ধরনের খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখার টিপস দেওয়া হয়েছে। 

১). দোসার ময়দা: 

সাধারণত চাল, ডাল ভিজিয়ে দোসার ময়দা তৈরি করা হয়। এভাবেই দোসা তৈরি করা সবার বাড়িতেই রেওয়াজ। কিন্তু দোসার ময়দা তৈরি করার সময় এক মুঠো ছোলা ভাজা মিশিয়ে দিন। এতে দোসা খেতে আরও সুস্বাদু হবে। 

২). সুস্বাদু রসম: 

অনেকেই রসম পছন্দ করেন না। অনেকে রসম দেখলেই এড়িয়ে যান। কিন্তু রসম রান্না করার সময় অল্প পরিমাণে মাটনের ঝোল মিশিয়ে দিলে স্বাদ অসাধারণ হবে। 

আরও পড়ুন: ৫ বছরে ধামাকা লাভ এই স্টকে! মাত্র ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে রিটার্ন ৮৩ লাখ!!

৩). নারকেল কোরা 

নারকেল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ১ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর বের করে মিক্সিতে কয়েক সেকেন্ড ব্লেন্ড করলেই ফুলের মতো নারকেল কোরা তৈরি। 

 ৪) ভাত দোসা: 

বাড়িতে রান্না করা ভাত বেঁচে গেলে তা মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন।  এর সাথে এক চা চামচ ছোলার ডালের গুঁড়ো, তিন চা চামচ চালের গুঁড়ো, পরিমাণমতো লবণ মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনমতো টক দই মিশিয়ে দোসার ময়দার মতো করে দোসা তৈরি করুন। 

৫). তাজা সবজি 

দুই-তিন দিনের মধ্যে রান্না না করলে সবজি শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে যাওয়া সবজি ফেলে না দিয়ে তার উপর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ছিটিয়ে দিন।   কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবজি তাজা হয়ে যাবে।

৬). মিষ্টি 

বাড়িতে তৈরি বা বাজারের মিষ্টি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এতে খাওয়ার সময় বিরক্ত লাগে। এটা রোধ করতে মিষ্টির নিচে একটি লবণের প্যাকেট রাখলেই হবে। 

৭). মেথি শাক: 
 
মেথি শাক শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু তার তিতা স্বাদের কারণে বাচ্চারা খেতে চায় না। এমনকি বড়রাও এড়িয়ে যেতে পারেন। কিন্তু অল্প গুড় দিয়ে রান্না করলে তিতা স্বাদ থাকবে না। 

 ৮). সুস্বাদু বড়া: 
 
বড়া তৈরির জন্য কাঁচকলা বা আলু ব্যবহার করি। সরাসরি কাটার পর বড়া না বানিয়ে, কাঁচামরিচের গুঁড়ো, লবণ মিশিয়ে আধ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভিজিয়ে রাখার পর বড়ার ময়দায় মাখিয়ে  বড়া বানালে স্বাদ অসাধারণ হবে। 

কাঁচকলা কাটলে হাতে লেগে যায়। এটা  এড়াতে কাঁচকলা কাটার আগে হাতে  লবণ  মাখিয়ে নিন। এতে লেগে যাওয়া, কালো দাগ প্রতিরোধ করা যাবে।  

৯). বাবল গাম তোলার উপায়! 

কাপড়ে লেগে থাকা বাবল গাম, চুইংগাম ইত্যাদি  তোলার জন্য বরফের টুকরো দিয়ে ঘষতে পারেন। এর উপর বরফ রাখলে বাবল গাম উঠতে শুরু করবে। শেষে লেগে থাকা অংশ স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে ফেলুন। 

১০). কলার দাগ তোলার উপায়! 

কাপড়ে কলার দাগ লাগলে সহজে যায় না। এটা তোলার জন্য পুরনো টুথব্রাশে পেট্রোল লাগিয়ে কাপড়ের দাগ ওয়ালা জায়গায় ঘষুন। এতে কলার দাগ উঠে যাবে। পরে সাবান দিয়ে কাপড় ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।