সংক্ষিপ্ত
ভোগ ফ্যাশান ম্যাগাজিনের ফিলিপাইন সংস্করণের এপ্রিল সংখ্যার প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছে একশো বছর পেরেনো অপো ওয়াং ওডের ছবি। ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তিনি তাঁর সময়ের একমাত্র মহিলা ট্যাটু অ্যার্টিস্ট।
ফ্যাশান ম্যাগাজিন ফিলিফাইন-এর নতুন সংস্করণে জায়গা করে নিয়েছেন ১০৬ বছর বয়সী এক মহিলা। অপো ওয়াং ওড। যিনি ছোটবেলা থেকেই ট্যাটু করে অভ্যস্ত। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি মারিয়া ওগে নামেও পরিচিত। তিনি দেশের প্রাচীনতম মাম্বাবাটোক শিল্পি। যা এখনও কলিঙ্গা ট্যাটুর ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। বিখ্যাত এই মহিলা অবশ্য থাকেন কলিঙ্গা প্রদেশের ম্যানিলার উত্তরে এক প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে।
ভোগ ফ্যাশান ম্যাগাজিনের ফিলিপাইন সংস্করণের এপ্রিল সংখ্যার প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছে একশো বছর পেরেনো অপো ওয়াং ওডের ছবি। ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তিনি তাঁর সময়ের একমাত্র মহিলা ট্যাটু অ্যার্টিস্ট। তিনি মাম্বাবাটোক সম্প্রদায়ের মধ্যে মহিলাদের ট্যাটু করার চল ছিল না। তিনি কিনি দূরবর্তা প্রতিবেশী গ্রামে ভ্রমণ করতেন, সেইসব গ্রামের প্রাচীন ঐতিহ্য, পূর্বপুরুষদের পবিত্র প্রতীকগুলি সংগ্রহ করে শরীরে ট্যাটুর আকারে ফুটিয়ে তুলতেন। ম্যাগাজিন আরও জানিয়েছে, কিশোর বয়স থেকেই মানুষের শরীরে হাত দিয়ে ট্যাটু করতেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, ওয়াং ওড-র আরও গল্প রয়েছে। কারণ তিনি তাঁর নিজের শরীরে নিজেরই জীবন কাহিনি এঁকেছেন। সাফল্য, অসাফল্য, অসুস্থতা সহই রয়েছে তাঁর শরীরে খোদাই করায একই সঙ্গে নিজের দীর্ঘ জীবনের প্রেমিকদের নামও তিনি খোদাই করে রেখেছেন শরীরে। তিনি জানিয়েছেন তাঁর শরীরের এই কাহিনি তাঁকে আরও এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা দেয়। আপাতত তাঁর অবসর নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন দূর দূর থেকে আসেন প্রচুর মানুষ, তাদের ইচ্ছেমত ছবি তাঁদের শরীরে ফুটিয়ে তুলেই তিনি আনন্দ পান বলেও জানিয়েছেন।
ওড আরও বলেছেন, মাম্বাবাটোকের শিল্পটি কেবলমাত্র রক্তের সম্পর্কের মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত হতে পারে। এই শিল্পের মৃত্যু নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন তাঁর নাতনি এলিাং উইগান ও গ্রেস প্যালিকাসকে শিল্পের জন্য দীর্ঘ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ২০১৭ সালে একটি সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছিলেন মাম্বাবাটোক শিল্প এমনই যা এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই থাকবে। তিনি আরও জানিয়েছেন ট্যাটুর প্রতি ভালবাসাই তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তবে তিনি এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে দীর্ঘ পরিশ্রম করছেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে না বলেও জানিয়েছেন। তাঁর পরবর্তী প্রজন্মকে তিনি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তাঁর পরবর্তী প্রজন্মে এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশাবাদী তিনি।