নিজের স্ত্রী-কে কখনও এই কথা ভুলেও বলবেন না! ওই দিনই শেষ হয়ে যাব সম্পর্ক
- FB
- TW
- Linkdin
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অন্যান্য সম্পর্কের মতো নয়। এতে বোঝাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সম্পর্ক দৃঢ়। নিজের বাড়ি এবং আত্মীয়দের ছেড়ে স্বামীর উপর ভরসা করে আসা স্ত্রীর জন্য, স্বামীই হলেন সব। তাই স্ত্রীর আত্মসম্মানে আঘাত করবে এমন কোনও কথা স্বামীর বলা উচিত নয়।
রাগ হলেও, মজা করেও স্ত্রীর সাথে অসম্মানজনক কথা বলা উচিত নয়। মতবিরোধের সময়ও রাগের মাথায় এমন কোনও কথা বলা উচিত নয় যা সম্পর্ককে দুর্বল করে। স্বামীর সবসময় মনে রাখা উচিত যে তার স্ত্রী সব সম্পর্ক ছেড়ে তার সাথে থাকতে এসেছেন।
বাহ্যিক চেহারা নিয়ে কটাক্ষ:
স্বামীর তার স্ত্রীর শারীরিক গঠন নিয়ে খারাপ কথা বলা উচিত নয়। বাহ্যিক চেহারা নিয়ে কটাক্ষ সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে। যেকোনো মহিলার জন্য এটি অস্বস্তিকর। ওজন, রঙ, উচ্চতা নিয়ে কোনও রসিকতা কোনও মহিলাই পছন্দ করেন না। এগুলি বললে মানসিকভাবে সে আপনার থেকে দূরে সরে যাবে।
আত্মীয়দের নিয়ে কটাক্ষ:
ভুলেও স্ত্রীর পরিবার বা আত্মীয়দের নিয়ে নেতিবাচক কথা বলবেন না। স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তার আত্মীয়দের সাথে তুলনা করে কথা বলেন, তাকে নিয়ে কটাক্ষ করেন, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ঘৃণা তৈরি হবে। 'তোমার চাচা কি মানুষ? তোমাদের পরিবারই এরকম' - এই ধরণের কথা বলা এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি কিছু প্রশংসা করতে না পারেন, তাহলে অন্তত সমালোচনা করবেন না।
মায়ের সাথে তুলনা:
আপনার মা হয়তো স্নেহশীলা, ধৈর্যশীলা। আপনাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু প্রতিটি পুরুষই জেনে বা না জেনে তার স্ত্রীকে মায়ের সাথে তুলনা করেন। বারবার তুলনা করলে তা বিরক্তি, রাগ, অভিমানের জন্ম দিতে পারে।
প্রতিবার, 'আমার মায়ের হাতের রান্নার মতো স্বাদ হয় না? আমার মায়ের মতো বাড়ির দেখাশোনা করতে পারো না? বাচ্চাদের মানুষ করতে তাদের মতো পারবে না?' - স্বামী যদি বারবার এমন কথা বলেন, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগবেই। কোন স্ত্রীরই এটা পছন্দ নয়। আপনার মায়ের আচরণ, ব্যক্তিত্ব, অভ্যাস আলাদা। স্ত্রীর আচরণ, ব্যক্তিত্ব, পরিস্থিতি ভিন্ন। ভুলেও দুজনকে তুলনা করবেন না।