মা-মেয়ের সম্পর্ক মজবুত করার ৩টি টিপস! জেনে নিন বিশেষ রিলেশনশিপ টিপস
- FB
- TW
- Linkdin
একটি পরিবারে একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার প্রথম আদর্শ তার মা। তাছাড়া, তার প্রথম বন্ধুও তার মা। আর মা ও মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক খুবই অনন্য।
মা তার মেয়েকে সবসময় ধাপে ধাপে বিভিন্ন বিষয় শিখিয়ে দেয়। বলতে গেলে মা যেকোনো পরিস্থিতিতে মেয়ের পাশে দাঁড়ায়। মেয়েকে বুঝতে পারা মা কঠিন পরিস্থিতিতে তাকে সাহস যোগায়।
এই পরিস্থিতিতে, মা-মেয়ের সম্পর্ক মেয়ের শৈশবকাল পর্যন্তই আবেগপ্রবণ থাকে। মেয়ে যখন কিশোরী বয়সে পৌঁছায় তখন তাদের সম্পর্কে কিছুটা দ্বিধা দেখা দেয়। এই বয়সে মেয়ের মায়ের কথা শোনার মানসিকতা থাকে না, তারা নিজের ইচ্ছামতো কাজ করতে চায়।
বিশেষ করে কিশোরী বয়সে মায়ের মেয়ের প্রতি অধিক চিন্তা বেড়ে যায়। কিন্তু এটা মেয়ের অপছন্দ হয়। মা চায় তার মেয়ে তার ইচ্ছা অনুযায়ী চলুক। কিন্তু মেয়ে সেভাবে না চললে মায়ের রাগ হয়। এর ফলে মা-মেয়ের সম্পর্কে ফাঁক সৃষ্টি হয়। তাই এড়াতে কী করা উচিত তা এখানে দেখে নেওয়া যাক।
মা ও মেয়ের সম্পর্ক কিভাবে মজবুত করবেন?
বকা না দিয়ে ভালোবাসায় বলুন:
সাধারণত কিশোরী বয়সে মেয়েরা তাদের সৌন্দর্য বাড়াতে চায়। বলতে গেলে তারা সৌন্দর্যের উপর অনেক গুরুত্ব দেয়। তাই, আপনার মেয়েকে তার মন খারাপ না করে ভালোবাসায় বুঝিয়ে বলুন।
সর্বসমক্ষে বকা দেবেন না!
আপনার মেয়ের কিছু কাজে যদি কোন ভুল দেখেন, তাহলে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন বা সর্বসমক্ষে কখনও বকা দেবেন না। এতে আপনার মেয়ে অপমানিত বোধ করতে পারে। তার মধ্যে হীনমন্যতা চলে আসবে। এর ফলে মা-মেয়ের সম্পর্কে ফাঁক সৃষ্টি হবে। তাই, তার পরিবর্তে তার ভুল শান্তভাবে বুঝিয়ে বলুন।
তুলনা করে কথা বলবেন না!
আপনার মেয়ের পড়াশোনার ব্যাপারে তার সাথে কঠোর ব্যবহার করবেন না। বিশেষ করে আপনার মেয়ের বন্ধু বা অন্যদের সাথে কখনও তুলনা করে কথা বলবেন না।
এভাবে লালন-পালন করুন:
- প্রতিটি মায়ের উচিত তার মেয়েকে ভালবাসা, বিনয়, সহানুভূতি, সাহায্যের মানসিকতা, ত্যাগ সহ সমস্ত ভালো গুণাবলী সম্পন্ন করে গড়ে তোলা।
- প্রতিটি পরিস্থিতি অনুযায়ী গুণাবলী প্রকাশ করার পদ্ধতি মেয়েকে শেখানো উচিত।
- কিছু বিষয় বাস্তবসম্মত না হলে তা মেয়েকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
- মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে।